দেবীদ্বারের করোনা রোগী নারায়ণগঞ্জে মৃত্যু : মারাত্মক ঝুঁকিতে চান্দিনা

টি. আর. দিদার চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লায় প্রথম করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু হয় নারায়ণগঞ্জে। তার গ্রামের বাড়ি দেবীদ্বার উপজেলায় হলেও মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে চান্দিনা উপজেলা। এক সপ্তাহে চান্দিনা ও তার আশ-পাশের এলাকাগুলোতে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার।

শনিবার (১১ এপ্রিল) চান্দিনা বাজারের দত্ত ডায়গনষ্টিক সেন্টার, দত্ত মেডিকেল হল ও জেএম সেন ফার্মেসী বন্ধ করে দেয় চান্দিনা উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি দেবীদ্বার উপজেলার নবীয়াবাদ গ্রামের ৫টি বাড়ির ৮টি ঘর লকডাউন করে দেবীদ্বার উপজেলা প্রশাসন।

রোগী পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনি গ্রামের বাড়ি দেবীদ্বার উপজেলার নবিয়াবাদে আসেন। চলতি মাসের শুরুতেই তিনি জ্বর-ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার গ্রামের বাড়ি চান্দিনা উপজেলা সদরের মাত্র দেড় কিলোমিটার মধ্যে। তাই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়ার জন্য চান্দিনা বাজারের জেএম সেন ফার্মেসীতে পল্লী চিকিৎসক অসিত কুমার সেনের শরণাপন্ন হন।

এছাড়া তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা কারান দত্ত ডায়গনষ্টিক সেন্টারে ও ওষুধ কিনেন দত্ত মেডিকেল হল থেকে। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসা না পেয়ে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) ভোরে নারায়ণগঞ্জের টানবাজার এলাকায় মেয়ের ভাড়া বাসায় তার মৃত্যু ঘটে।

এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রোগীর বাড়ি দেবীদ্বার হলেও সে চিকিৎসা নেয় চান্দিনা বাজারের এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয় চান্দিনায়। যদি ওই রোগীর মাধ্যমে চান্দিনায় ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চান্দিনা ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা প্রথমে চিকিৎসককেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।