পঞ্চগড় কারাগারে এক কয়েদী করোনায় আক্রান্ত

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

পঞ্চগড় জেলা কারাগারের এক কয়েদী  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সে এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।

পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোঃ ফজলুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় কারাগারের একটি ওয়ার্ড লকডাউন করে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সাথে সাথে এ ঘটনায় ৪ জন কারারক্ষী, জেলা পুলিশের ২ জন সদস্য, পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের ১ জন নার্স, ১ জন ওয়ার্ডবয়, অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ ১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার পরীক্ষার জন্য কারাগারের ৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জন অফিস গোপন রাখে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খবরটি জানাজানি হলে কারা কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পঞ্চগড় জেলা কারাগারের জেলার শফিকুল আলম বলেন, ‘ওই বন্দী গত ৩ মার্চ ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগার থেকে পঞ্চগড় কারাগারে আসেন। এর মধ্যে একবার তিনি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। আগে থেকেই তাঁর অ্যাজমার সমস্যা ছিল। ১ মে রাতে তাঁর অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে গেলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে রাতেই তাঁকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে তিনটার দিকে একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশি পাহারায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির পরও শ্বাসকষ্ট থাকায় ৩ মে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠান চিকিৎসকেরা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই বন্দীর নমুনা পরীক্ষার ফল করোনা পজিটিভ আসে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, পঞ্চগড় কারাগারের ওই কয়েদী যে ওয়ার্ডে থাকতেন, সেই ওয়ার্ড লকডাউন করার পর ওই ওয়ার্ডে থাকা ৫২ জন কয়েদীসহ ৫৫ জনের নমুনা বৃহস্পতিবার সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া ওই কয়েদীর সংস্পর্শে আসায় কোয়ারেন্টিনে থাকা কারারক্ষী, পুলিশ সদস্যসহ অন্যদেরও পর্যায়ক্রমে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। বর্তমানে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে ২২৯ জন কয়েদী রয়েছেন।’

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘১ মে রাতে একজন কয়েদীকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হবে বলে আমাদের জানালে পিপিই পরিহিত দুজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে দিই। ওই রোগী করোনা পজিটিভ হওয়ায় খবর পাওয়ার সাথে সাথে ওই দু’জন পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।’