চাঁদপুরে বসতবাড়িতে হামলা-ভাংচুর : নারীসহ আহত ১০

 

স্টাফ রিপোর্টার:
পূর্ব শত্রুতার জেরে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার দারচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বসত বাড়িতে (বেপারী বাড়ি) হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট ও সিরাজুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ হয়েছে।

এতে করে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্থানীয় জনগণ।

গত ২৬ মে মঙ্গলবার রাতে এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাগেছে, দারচর গ্রামের শিব্বির, আল-আমিন, লিটন, আশেক, হাসান, মানিক, মনির, রিয়াজ, মাছনুন এবং কবির দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিরাজুল ইসলামের চার ছেলে মাওলানা আনোয়ারুল্লাহ, খোরশেদ আলম, আলমগীর হোসেন এবং হালিমের বসতঘরে কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় তাদের বাঁধা দিলে সিরাজুল ইসলাম, আফিয়া বেগম, মাওলানা আনোয়ারুল্লাহ, খোরশেদ আলম, নাছরিন আক্তার, রিফিন, রিমি, আফসানা, শাহিনুর বেগম এবং শিল্পি বেগমকে লাঠিসোঠা দিয়ে আঘাত করে এবং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আহতদেরকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্থানীয় জনগণ।


এসময় শিল্পি বেগমের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। বর্তমানে শিল্পি বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের আনোয়ারুল্লাহ জানান, পূর্বশত্রæতার জের ধরে তারা আমাদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও মারধর এবং জখম করে। আমার বসতঘর থেকে আলমারিতে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা এবং ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
খোরশেদ আলম জানান, তারা আমার দুই মেয়েকে টেনে হেঁচড়ে বারবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এক পর্যায়ে আমার দুই মেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।

বিবাদীরা তার ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুরসহ নগদ দেড় লাখ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।

আ. হালিম জানায়, বিবাদীরা তার ঘরে থাকা মালামাল ভেঙ্গে ৮০ হাজার টাকাসহ মালামাল লুট করে। এবং এতে বাধা দিয়ে অনান্য সদস্যদের আঘাত করে।

আলমগীর জানায়, বিবাদীরা তার ঘরে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ঘরে থাকা ১লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট করে। এবং তার স্ত্রী শিল্পী বেগমকে কুপিয়ে জখম করলে তিনি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ শিব্বির আহমেদ জানান, ঘটনার দিন বিকেল বেলা মাগরিবের আগে তারা আমার দোকানে একজনকে খোঁজ করে আমাকে বলে, তাকে দোকান থেকে বের করে দিতে এতে আমি বাধা প্রয়োগ করলে তারা আমাকে বেধরক মারধর করে। এঘটনায় আমি কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ ব্যাপারে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়ালী উল্লাহ জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তকারী অফিসার তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।