মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫, ইউপি সদস্যসহ আটক ১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :

পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর হামলা ভাংচুরের শিকার হয়।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পুলিশ এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আতিক মিয়াসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে পুকুরে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র সাহেবনগর বাজার এলাকার হোসেন আলির পক্ষের রাব্বানি মিয়াকে মারধোর করে একই এলাকার মাঈনুদ্দিনের পক্ষের সুমন মিয়া ও তার লোকজন।

এর জের ধরে বুধবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।

খবর পেয়ে নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ সময় পুলিশ শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ( মেম্বার) মো. আতিক মিয়াসহ উভয়পক্ষের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

আহতদের মধ্যে আছেন, রাব্বানি মিয়া (৪৫), কাউছার মিয়া (৩৮), কালু মিয়া (৪২), হাফিজ মিয়া (৪৬), জাহাঙ্গীর মিয়া (৪১), আউয়াল মিয়া (৪০), সামদানি (৩১), শামীম মিয়া (২৯), উবায়দুল্লাহ (৩৩) ও এনাম মিয়া (৫০)।

তাদেরকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সংর্ঘষে গুরুতর আহত চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. মকবুল হোসেনের বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ইউপি সদস্যসহ ১২জনকে আটক করেছে।