চাঁদপুরে হত্যা মামলায় যুবলীগের এক নেতাসহ ৬ জন গ্রেফতার

 

নিউজ ডেস্ক :
অবশেষে বহিষ্কার করা হয়েছে অপকর্মে জড়িত চাঁদপুর যুবলীগ নেতাদের। তাদের জন্য বিলুপ্ত হয়েছে দুটি কমিটিও। চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে যুবলীগের দু‘পক্ষের সংঘর্ষ এবং পথচারী নিহতের ঘটনায় জড়িত থাকায় স্থানীয় ৪ যুবলীগের নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (০১ জুন) রাতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিল প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে বিবাদমান দুটি কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হচ্ছেন, চাঁদপুর পৌরসভা যুবলীগ ১ নাম্বার ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির খান, ২ নাম্বার ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ গাজী এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাসেল পাটোয়ারী। একই সঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই ২টি ওয়ার্ড কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে নিখিল জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুসংগঠিত এবং সুশৃঙ্খল। সুতরাং সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার রাতে এলাকায় প্রভাববিস্তার এবং মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় যুবলীগের দু‘পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থল দিয়ে যাবার সময় শামীম গাজী নামে এক পথচারী ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন। পরের দিন মঙ্গলবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত শামীম গাজীর (২৫) বাড়ি পুরানবাজারের মধ্য শ্রীরামদী এলাকায়। সোমবার রাতে কর্মস্থল চাঁদপুর গ্র্যান্ড হিলশা হোটেল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বিবাদমান দু‘পক্ষের মাঝে পড়েন। মৃত্যুকালে পরিবারে বাবা, মা, তিনভাই ছাড়াও স্ত্রী ও ৯ মাসের শিশু সন্তান রেখে যান শামীম গাজী।

তার মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত শামীম গাজীর বাবা তাজুল ইসলাম। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ ইতিমধ্যে যুবলীগের এক নেতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিমউদ্দিন জানান, হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামিকে অতিদ্রুত সময়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ। এই জন্য প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।