ফরিদগঞ্জে অসহায় দরিদ্র পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার মীরপুর গ্রামের অসহায় দরিদ্র একটি পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাযায়, পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের মীরপুর গ্রামের হত দরিদ্র বেন চালক মোঃ রফিক বরকন্দাজের পরিবারকে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে রাতের আধাঁরে পরিকল্পিতভাবে হয়রানীর চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগেছে একটি দুষ্টুচক্র।

এলাকাবাসী জানাযায়, বুধবার সন্ধ্যায় মীরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তালুকদার বাড়ির সামনে দোকান থেকে মোঃ আনোয়ার হোসেন সিগারেট ও কোমল পানিয় কিনে নিয়ে ণির্মানাধীন প্রাইমারী স্কুলের সামনে গিয়ে তা সেবন করতে গিয়ে অতিমাত্রায় সেবন করে স্কুলের বারান্দায় শুয়ে পড়ে। এক পর্যায় সে পানি পানি বলে চিৎকার করতে থাকলে পার্শ্ববর্তী ঘরের সৈয়দ আহমদ এসে তাকে পানি পান করায়। অত:পর সে বলে আমার পেট ব্যাথা হচ্ছে। সাথে সাথে সৈয়দ আহমদসহ অন্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

তালুকদার বাড়ির সামনের দোকানে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী হাবীব তালুকদার জানায় , আমি দোকানে অবস্থান করা কালিন আনোয়ার সিগারেট ও কোমল পানিয় নিয়ে চলে যায় । যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই শুনতে পাই তাকে লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। লোকজনের ধারণা সে নিজেই হয়তো কোমল পানির সাথে মাদক জাতীয় কিছু মিশ্রণ করে পান করেছে, তাই তার পেট ব্যাথা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ আহমদ তালুকদার বলেন, ৪/৫ মিনিট পূর্বে আনোয়ারকে দোকানের সামনে দেখেছি , তার কিছুক্ষন পরেই পানি পানি শব্দের চিৎকার শুনে স্কুলের বারান্দায় গিয়ে দেখি আনোয়ার সোয়া অবস্থায় পানি পানি বলতেছে। পানি পান করানোর পরে পেট ব্যাথা করছে বললে তাকে আমিসহ উপস্থিত লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে , চিকিৎসক চাঁদপুর সদন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। চাঁদপুর সদরে (২৫ জুন ) একদিন চিকিৎসা নিয়ে (২৬ জুন ) বাড়ি ফিরে আসে।

হয়রানীর স্বীকার মোঃ রফিক বরকন্দাজ জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলে রিপনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। যে সময় আনোয়ার চিৎকার করছিল তখন আামার ছেলে রিপন আমার ঘরেই অবস্খান করছিল। পরিকল্পিতভাবে পূর্বশ্রতুতার জের হিসাবে আমাদেরকে নতুন করে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিন ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এছাড়া আনোয়ারের পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে প্রায়ই প্রান নাশের হুমকী দিয়ে চলছে।

এ ঘটনায় আনোয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়,আমরা অইনগতভাবে বুঝবো ।

এ ঘটনায় স্থানীয় শালিসদাররা কার্টিজ পেপারে উভয় পক্ষের সালিশ নামায় স্বাক্ষর করানোর পর ৫০ হাজার টাকা করে জামানত চাইলে হত দরিদ্র রফিক মিয়ার পরিবার টাকা জমা দিয়ে না পারায় শালিস বৈঠকে বসা সম্ভব হয়নি বলে জানাযায়। পরে স্থানীয় কাউন্সেলর মোঃ মহসীন তালুকদার ১দিনের সময় নিয়ে মিমাংশা করতে পারেনি বলে জানাযায়।

এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইন চার্জ আবদুর রকিব জানান, আনোয়ারের মা মারুফা বেগম লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য উপ- পরিদর্শক গোলাম রসূলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তাছাড়া উভয় পক্ষকে থানায় আসার কথা বললেও বিবাদী পক্ষ থানায় আসলেও বাদী পক্ষ না আসায় কোন বিহিত করা সম্ভব হয়নি।