স্পিডবোটে পদ্মার চরে নিয়ে গিয়ে গৃহবধুকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৪

 

মাদারীপুরে স্পিডবোটে তুলে নিয়ে গৃহবধুকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে সেই নারীকে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই যাত্রীকে শিমুলীয়া ঘাটে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফেরি থেকে ফুসলিয়ে স্পিডবোটে তুলে পদ্মা নদীর চরের মধ্যে নামিয়ে ৩ বখাটে যুবক দলবেধে গণধর্ষণ করে বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, স্পিডবোট চালক ফারুক মিয়া (২০) এবং কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের ফকিরকান্দি গ্রামের তনু মোল্লার ছেলে মাসুদ মোল্লা (২৪), একই গ্রামের রশিদ মৃধার ছেলে মাহাবুল মৃধা (২৯) ও সামাদ হাওলাদারের ছেলে নুর মোহাম্মদ হাওলাদার (২৩)।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, মাদারীপুরের শিবচরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো শেষে স্বামীর কাছে ফিরছিল ওই গৃহবধু। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট থেকে দ্রুত পাড় করে দেয়ার কথা বলে স্পিডবোটে ওঠায় চালক ফারুকসহ মাহাবুল, নুর মোহাম্মদ ও মাসুদ।

পদ্মানদীর মাঝপথে তেল শেষ হলে চালক ফারুক স্পিডবোটটি নোঙর করে একটি ট্রলারযোগে তেল আনতে যায়। এ সময় মাহাবুল, নুর মোহাম্মদ ও মাসুদ জোড় করে ওই গৃহবধুকে পদ্মার চরে নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে গণধর্ষণ করে।

স্পিডবোট চালক তেল নিয়ে আসলে পালিয়ে যায় তিন বখাটে। পরে ওই গৃহবধুকে চালক ফারুক মিয়া তার বাড়িতে নিয়ে আসে। বুধবার সকালে বিষয়টি শিবচর থানা পুলিশকে অবগত করলে স্পিডবোট চালককে সাথে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ।

পরে শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বখাটে মাহাবুল, নুর মোহাম্মদ ও মাসুদকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় স্পিডবোট চালককেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে শিবচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছে।