ফুলের বাগান করতে গিয়ে ইচ্ছে করে ভুল!

২১ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ : মঙ্গলবার

সম্পাদকীয়

উচ্ছেদ করে রেলের পরিত্যক্ত জায়গা দখলমুক্ত করা দরকার

দখল করার দারুণ কৌশল! যেন কেউ সন্দেহ করতে না পারে। যদিও জনসাধারণের কাছে বিষয়টি এখন হাস্যকরের হলেও আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। কেউ কেউ জোরপূর্বক দখল করে। দখল করে সেটা নিজের বলে চালিয়ে যাওয়া এবং একসময় সেটা তার হয়ে যাওয়া-এমন ঘটনা আমরা অতীতে অনেক দেখেছি। এখনও জানি যে, কেউ কেউ সরকারি জায়গায় কৌশলে দখল করে নিজের করে নিয়েছে, ঠিক এভাবেই হয়তো নয়; ভিন্ন কৌশলে।

এই ঘটনাটিকে আমরা দুঃসাহস বলতে পারি। তার চিন্তা ও কার্যক্রমে আমরা সকলেই অবাক হয়ে যাই। লোভ করারও সীমা আছে। কিন্তু এমন লোভ কেনো হবে? এখন কথা হলো, দখলকারী ব্যক্তি কোথা থেকে, কীভাবে, কোন আইনে রেল লাইনের জায়গায় ফুল বাগান করার অনুমতি পেয়েছে তা খতিয়ে দেখে তাকে সতর্ক করা দরকার। যেন সে পরবর্তীতে আর দখল করার জন্যে সাহস না করতে পারে। যদি সে অনুমতি পেয়ে থাকে তাহলে রাতের আঁধারে কেনো করতে যাবে? দিনে কি তার সময় ছিলো না? নাকি রাতে করলে কেউ দেখতে পাবে না; আর এই দখল করাটা দারুণ সুবিধা হবে? কথা হলো, সে তো দখলের চেষ্টা করেছিলো মাত্র; দখল তো করে নিতে পারেনি। কিন্তু রেলের এমন অনেক জায়গা আছে কিনা, যা অবৈধভাবে কেউ দখল করলো কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছি।

সাধারণ জনগণের সরকারি জায়গার হিসাব রাখা হয়তো সম্ভব নয়; কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের সেটি সম্ভব। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবশ্যই হিসাব রাখা, সেই জায়গা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা, সেই জায়গা যাতে কেউ দখল করতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা। আমরা সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে দখল হতে যাচ্ছিলো এমন জায়গা রক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় বিষয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে এটি পরিস্কার যে, যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে না আসতেন তাহলে হয়তো দখলদারের ভোগদখলে চলে যেতো। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি, হতাশায় দখলকারীকে চলে যেতে হয়েছে।

এখানে একটা বিষয় বলা দরকার যে, ওই ব্যক্তি তার আরো লোকজন নিয়ে দখল করতে যুক্ত করেছিলো। রেলওয়ের পরিত্যক্ত লাইন গর্ত খুঁড়ে ত’া দিয়ে প্রায় একশত ফুট জায়গায় ব্যারিগেড দিয়ে রাখা! এটি অবশ্যই দুঃসাহসের বিষয়। একশত ফুট জায়গা দখলের চেষ্টা কোনো মতেই কম জায়গা নয়। সুতরাং দখলকারীর পিছনে কেউ আছে কিনা-এ ধরনের একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় যে, চাঁদপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী দখলকৃত স্থানের বাউন্ডারি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। আমরা সাধারণ জনগণ আশা করি, রেলওয়ের আরো পরিত্যক্ত জায়গা যদি কোনো দখলদার দখল করে যদি এখনো ভোগ করে থাকে, তাহলে তা তদন্ত করা দরকার। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা দরকার ও উচ্ছেদ করে রেলের পরিত্যক্ত জায়গা দখলমুক্ত করা দরকার। হতেও তো পারে যে, কেউ হয়তো কেউ ফুলের বাগান করতে গিয়ে ইচ্ছো করে ভুল করে জায়গা দখল করে আছে!