লোডশেডিংয়ে নিত্য বিড়ম্বনায় পড়ছেন রায়পুরের জনগণ

মোঃ হৃদয় হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিড়ম্বনা থাকবে না বলে কথা দিয়েও কথা রাখেননি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ঋতু বদলের সাথে সাথে প্রকৃতি যেমন তেঁতে উঠছে তেমনি গরম শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিংয়ে নিত্য বিড়ম্বনায় পড়ছেন রায়পুরের জনগন।

ভূক্তভোগীরা জানান, ঈদুল আযহা আসার পূর্ব থেকেই বারবার লোডশেডিং এর কবলে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রায়পুরবাসীকে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের অন্য কথা, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় বাধ্য হয়ে এলাকাভেদে বারবার লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। এছাড়া থাকছে না আর কিছু করার।

এদিকে এমনিতে মশার উপদ্রবে উপজেলাবাসীর জনজীবন অসহ্য হয়ে পড়ছে, তার ওপর আবার বারবার বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়ায় সময় কাটাতে হচ্ছে মোমবাতির আলোতে। এ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। এভাবেই কেঁটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। প্রায় পৌণে চার লাখ জন-অধ্যুষিত রায়পুরবাসী বিদ্যুতের লুকোচুরি থেকে নিস্কৃতি চায়। কবে নাগাদ এই ভোগান্তির অবসান ঘটবে এটাই এখন জনমনে প্রশ্ন?

রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মুঠোফোনে জানান, উৎপাদনে বিদ্যৎ কম থাকায় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বিদ্যুতের এ সমস্যা খুব শিগ্রই সমাধান হবে।

তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ ধরণের বক্তব্য গ্রাহক মানতে নারাজ। আকাশে মেঘ এবং একটু বৃষ্টির লক্ষণ মানেই বিদ্যুতের লোডশেডিং। দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় মানুষে।

ফ্রিজে রাখা খাদ্য সামগ্রী নষ্ট হওয়া এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকতে হবে, ঘন্টার পর ঘন্টা! দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীনই থাকতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের এ দায়সারা বক্তব্য অনেকটা অরণ্যে রোদনের মতো। কবে নাগাদ সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ সরবাহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে, গ্রাহকগণ এ নিয়েই উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় থাকছেন।