মনপুরায় অস্বাভাবিক জোয়ার : টানা বৃষ্টি আমন ধানের চাষ অনিশ্চিত

রাকিবুল হাসান, মনপুরা ভোলা সংবাদদাতা :
জলাবদ্ধতায় আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন মনপুরার কৃষকরা। ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা শতকরা ৮০%লোক কৃষি কাজে সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িত। এবার মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও টানা বৃষ্টির কারণে ধান চাষের জমিগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় আমন ধানের চাষ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মনপুরা কৃষক। এই জলাবদ্ধতায় কারণে প্রায় (৯)হাজার হেক্টর জমির আমন ধান চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।পঁচে যাচ্ছে আমন ধানের চারা।

জানা যায়, প্রত্যেক বছর মনপুরা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়।সেই ধারাবাহিকতা এই বছরও আমন ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু আমনের মৌসুম আসার সাথে সাথে মনপুরা টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার এর ফলে অনেক জায়গা বেড়িবাঁধ বিলিন হয়ে বিতরে মেঘনার পানি প্রবেশ করে।এতে কৃষকের বীজতলা সহ আবাদি জমি বেশ কয়েক দিন যাবত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে।এর ফলে আমন ধান চাষ নিয়ে বেশ চিন্তিত আছেন মনপুরার কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক সুশান্ত বলেন, প্রতেক বছর আমন ধানের চাষ করি।কিন্তু এবার বীজতলা সহ আবাদি জমি পানি নিচে তলিয়ে আছে কখন পানি নামবে কখন আমন ধানের চারা বীজতলা থেকে নিয়ে লাগাতে পারনো সেটা নিয়ে ভাবছি। আমন ধান চাষ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা হচ্ছে।

জহুরুল হক বাচ্চু মাষ্টার বলেন,পানি নিষ্কাশন স্লাইস গেইট গুলো সঠিক সময় না খোলার কারণে লোকালয় থেকে পানি নামতে পারছে না। সেই কারণে আবাদি জমি গুলো জলাবদ্ধতা হয়ে আমন ধান চাষ করা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, এই বছর অতিবর্ষণ ও অমব্যশার অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে মনপুরা অনেক জায়গা বেড়িবাঁধ বিলিন হয়ে পানি ঢুকে অাবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে পানি কিছুটা কমলে মাঠের পানিও কমতে শুরু করবে। আশা করছি পানি খুব দ্রুতই নেমে যাবে আর এর পরেই কৃষকরা আমন ধানের চাষ করতে পারবে।

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ১০ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৫ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, মঙ্গলবার