এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা কী শাস্তি পাবে?

সম্পাদকীয়
সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মিডিয়াসহ সমস্ত যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনাটিকে জঘন্য ও ঘৃণিত মন্দ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। চারিদিকে ধিক্কার জানানো হচ্ছে, সেসব অমানুষদের প্রতি। আর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠছে চারিদিকে।

প্রিয় সময়ে ‘এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ : ছাত্রলীগের ৬জন নেতা জড়িত’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি দেশ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। অত্যন্ত জঘন্য কাজ হিসেবে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, ‘সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। পরে এসএমপির শাহপরাণ থানা পুলিশ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ছাত্রবাস থেকে স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। পরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।’

একটি শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের ঘটনা দেশবাসী কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। মানতে পারছে না সুশীল সমাজও। কেননা ‘সিলেটের প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এমসি কলেজের ১২৮ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের খবর সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।’ হয়তো অনেকদিন ধরে এই নিন্দা চলতে থাকবে। আমরা প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, সেই এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে আসে ঐ ওই গৃহবধূ। সুযোগ বুঝে দুষ্টচক্রের দল গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চাইলে তার স্বামী প্রতিবাদ করে। তাকেও মারপিট শুরু সেই ভদ্রবেশী দুষ্টচক্রের দল। তারা তাদের কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে গিয়ে গৃহবধুর স্বামীকে বেঁধে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর তারা সেই গৃহবধুর স্বামীকে রাত ন’টার দিকে ধরে নিয়ে কিছু ছেলে মারপিট করে।

আমরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা চাই এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা কী শাস্তি পাবে? কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় যে, ক্ষেত্রবিশেষে এ ধরনের পোষ্যরা রক্ষা পেয়ে যায়। কিন্তু কেনো? এভাবে চলতে থাকলে ধর্ষণ বেড়ে যাবে এবং সমাজে অবক্ষয় দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকবে। তখন আমরা আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। যদিও এখনো হয়তো কারণে কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছি আমরা। এতো ঘটনা ঘটে, অথচ সুষ্ঠু বিচার হয় না, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। অন্তত এই ঘটনায় যেন আমরা হতাশ না হই। মানুষ যেন সঠিক বিচারের খবর পেয়ে প্রশান্তি লাভ করতে পারে-আমরা সেই প্রত্যাশাই করছি।

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, প্রিয় সময় গুজব প্রচার করে না

০৫ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ২০ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৭ সফর ১৪৪২ হিজরি, সোমবার