দোহারে পদ্মানদী থেকে আটক ১৮, ১ বছর করে সাজা ১০ : বাকিদের অন্য মেয়াদে সাজা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধনের মহা উৎসবে মেতে উঠেছে এক শ্রেনীর মৌসুমি জেলেরা। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ১৪ই অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও তা মানছেনা কেউ।

মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন নদীর তীরবর্তী এলাকায় ঘুরে এমনটাই জানা যায়। উপজেলার বাহ্রা ঘাট, বিলাশপুর, মাহমুদপুর, মধুরচর, মেঘুলা, নারিশা, বেথুয়াসহ বিভিন্ন স্পটে নদীর তীরে এনে বিক্রি করা হচ্ছে এসকল নিধনকৃত ইলিশ মাছ। এছাড়া আরও জানা যায়, এসকল মৌসুমি জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খাচ্ছে উপজেলা প্রসাশন।

অপরদিকে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে ১৮ জেলেকে আটক করে উপজেলা প্রসাশন। মঙ্গলবার দুপুরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের আদালতে হাজির করলে, একই অপরাধের জন্য ১৮ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন তিনি।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বিলাশপুরের মৃত আবুল চোকদারের ছেলে কাশেম মিয়া(২৫), মৃত শহর আলীর ছেলে তারা মিয়া(৫৫), সমসের মাদবরের ছেলে আব্দুল রশিদ (৪৫), কুতুবপুরের মুকসেদ বেপারীর ছেলে মুসলেম বেপারী (৫০), নারিশা পশ্চিমচরের নুরু মৃধার ছেলে জাহাঙ্গীর মৃধা (৪৫), বিলাশপুরের মৃত জৈনদ্দিন পত্তনদারের ছেলে সেকান্দার পত্তনদার(৭৫), রাধানগরের সাদেক আলীর ছেলে হারুন মিয়া (৫৫), সোনার বাংলা গ্রামের মৃত সিরাজ সিকদারের ছেলে বাবুল সিকদার (৫০), বিলাশপুরের মৃত সদর মোল্লার ছেলে ফয়জল মোল্লা (৬০), নারিশা পশ্চিমচরের ফয়জল খার ছেলে আসাদ হোসেন (২২), শেখ আব্দুল হকের ছেলে দুলাল শেখ (২০), নবিন ফকিরের ছেলে খোকন ফকির (২৩), বিলাশপুরের সামাদ মোল্লার ছেলে সালাম মোল্লা (৫০), সেকান্দার হাওলাদারের ছেলে মহিন হাওলাদার (৪০), চরপুরুলিয়ার হাশেম বেপারীর ছেলে বাদল মিয়া (২৭), চরকুসুমহাটির আদু খানের ছেলে ফারুক মিয়া (২৭) ও চরপুরুলিয়ার দুলাল বেপারীর ছেলে সজিব বেপারী (২০)। এর মধ্যে ১০ জনকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩ জনকে ৫ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড, ৩ জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ জনকে ১৫ দিনের জেল দেয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানীতে জানা যায়,নদীতে প্রশাসনের অভিযান চালনাকালে প্রভাবশালীদের কেউ আটক হলেই তাকে নামমাত্র জরিমানা এবং ১৫ দিন / ১ মাসের সাজা দেয়া হয়।সাধারন জেলেরা ধরা পড়লে সাজা হয়। এর সাথে খোদ প্রশাসনের সম্পৃক্ততার কথা জানা যায়। এছাড়া

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম ফিরোজ মাহমুদ বলেন চলতি মৌসুমে ইলিশ ধরা বিক্রি পরিবহন ও মজুদের আলামত পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে দণ্ডাদেশ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফর নাহারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোহারের পদ্মানদীতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান চলছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, পাঠকের আস্থাই আমাদের মূলধন

২০ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ০৪ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, মঙ্গলবার