হাজীগঞ্জে দেবরের সাথে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ফিরে আসেনি ভাবি

জহিরুল ইসলাম জয় :
হাজীগঞ্জে দেবরের সাথে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাড়ীতে ফিরে আসেনি ভাবি। ছয় বছরের শিশু কণ্যা সুরমা মায়ের অপেক্ষায় দিনের পর দিন গুনতে গুনতে প্রায় দেড় মাস ধরে অপেক্ষমান।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের রামড়া রহমতউল্ল্যাহ মিজি বাড়ীর লফতে আলীর পরিবারে এমন চাঞ্চল্য ঘটনাটি ঘটে। তার দুই ছেলে মো. শাহআলম ও ছোট ছেলে মো. সাগর ।

প্রায় ১০ বছর পূর্বে বড় ছেলে শাহআলম মতলব দক্ষিণ উপজেলার বদরপুর গ্রামের শওকত মিয়ার মেয়ে শাহীনুর আক্তারকে শরিয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই মাঝে তাদের ঘর আলো করে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সংসারের উন্নয়নের লক্ষে গত ৪ বছর পূর্বে ওমান পাড়ি জমান শাহআলম। বাড়ীতে বাবা, মা, ছোট ভাই সাগরসহ যৌথ পরিবারের মাঝে স্ত্রীকে রেখে যান।

গত প্রায় দেড়মাস পূর্বে ভাবি শাহীনুরকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে ছোট ভাই সাগর (২৫) হাজীগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে রওনা দেন। সাথে বেগে থাকা বাড়ী নির্মাণের টাকা, চেক বই ও স্বর্ণলংকার নিয়ে আপন দেবরের সাথে সেই যে পাড়ী জমান আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। পরিবারের বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের সাথে মায়ের ফিরে আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে ছিল একমাত্র কন্যা শিশু সুরমা (৬)। শিশুটির মনের অবস্থা চিন্তা করে নানা নানু তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং তাদের কন্যার বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।

খোজ নিয়ে জানা যায়, দেবর সাগর ও ভাবি শাহীনুর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হাজীগঞ্জে বাসা ভাড়া করে থাকছেন। বড় ভাই শাহআলম টাকা ও স্বর্ণলংকারের হিসাব চাইতে গেলে বরং বিভিন্ন লোক মারপতে ছোট ভাই হুমর্কি দেয় দেশে আসলে দেখিয়ে ছাড়বে।

মা মরিয়ম বেগম, প্রতিবেশী আয়েশা বেগম ও চাচাতো বোন সালমা বলেন, আমরা বুঝে উঠতে পারিনি তারা দুইজন তলে তলে এতো দূর এগিয়ে যাবে। মাস দেড়েক পূর্বে দেবর সাগরকে সাথে নিয়ে হাজীগঞ্জে ডাকার দেখানোর নাম করে বাড়ী থেকে যায়। বড় ভাই শাহআলম বাড়ীতে ইট, বালি এনে রেখেছে বিলিং করার জন্য। তারা দুইজন লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। বর্তমানে পরিবার, বাড়ী ও সমাজের মূখে কলঙ্ক লাগিয়ে তারা হাজীগঞ্জে বাসা বেধেছে।

এ বিষয়ে ছোট ভাই সাগর এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আজকাল এসব ঘটনা নতুন কিছু না। আমরা একে অপরে ভালোবেসে বিয়ে করে নতুন সংসারে আবদ্ধ হয়েছি। বড় ভাই প্রাথমিক অবস্থায় মেনে না নিলেও সে আমার ভাই, অবস্যই একদিন না একদিন সে আমাকে ক্ষমা করবে। তবে তাকে আমি কোন ভাবে কোন হুমর্কি বা তার কোন অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চিন্তা করিনি।