উঠান বৈঠকই নিঃসন্দেহে আসল বৈঠক

সম্পাদকীয়

সুন্দর সমাধান, সুন্দর পরিকল্পনা, সঠিক দিকনির্দেশনা, প্রকৃত সমস্যা খোঁজে বের করা, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে বৈঠকই সবচেয়ে মার্জিত ও সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা বলে পরিগণিত। এতে কোনো জুটঝামেলা থাকতে পারে না।

সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যা চিহ্নিত ও তার সমাধানের জন্যে ভালো ভালো উপায় বের করার জন্যে উঠান বৈঠকই আসল বৈঠক। কেননা এতে করে পরবর্তীতে কোনো কাজের জন্যে কারো কোনো বাধা থাকে না বা কোনো কিছু বলার মতো থাকে না। সকলেরই সমর্থন থাকে ও কাজটি সুন্দরভাবে এগিয়ে যায়। আর কাজটিও সকলের কাজে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়।

প্রিয় সময়ে ‘উন্নয়ন কাজের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে রামপুরে বিশাল উঠান বৈঠক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যম আমরা জানতে পারি একটি দৃষ্টান্তমূলক ও অনুসরণীয় পদক্ষেপ। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, ‘বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষামন্ত্রী আলহাজ্ব ডাঃ দীপু মনি এমপির ওয়ার্ড ভিত্তিক উন্নয়ন কাজের বিবরণ, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর বড় সুন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শত শত নারী-পুরুষ ও নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ সত্যিই সকলের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন কাজের বিবরণটি সকলের সামনে স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। আর এতে করে উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে সকলে মতামত দিতে পারে, কারো মতামত ভুল হলে অন্যজন সেটি সুধরে নিয়ে একটা পরিস্কার ধারণা অর্জন করে গ্রহণযোগ্য বর্ণনায় পৌঁছাতে পারে। আর এসব ক্ষেত্রে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমস্যাগুলো পরিস্কার হয়ে যায় সকলের কাছে।

আমরা উঠান বৈঠককে সমর্থন জানাই। কেননা উঠান বৈঠক একেবারে রূট পর্যায়ের কার্যক্রমকে প্রকাশ করে। এলাকার খেটে খাওয়া মানুষদের সুখ দুঃখের কথা জানার জন্যে, তাদের মতামত গ্রহণের জন্যে, প্রকৃত সমস্যাগুলো সরাসারি তাদের মুখ থেকে শোনার জন্যে উঠান বৈঠকের বিকল্প আর কিছু হতে পারে বলে আমরা করি না। আমরা সাধুবাদ জানাই এমন উদ্যোগকে। এই ধারা অব্যহত থাকলেই সাধারণ জনগণ তাদের সমস্যার কথা, উন্নয়নের কথা সরাসরি সরকারি পর্যায়ের মানুষকে জানাতে পারবে।