বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষিতা কিশোরী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা : আটক ২

বিশেষ প্রতিনিধি :
শাহরাস্তি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ নাওড়া গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।

ঘটনার বিবরণে ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ষোড়শী ওই কিশোরীর বাড়ি কচুয়া উপজেলার কান্দিরপাড় গ্রামে। তার পিতা একজন সিএনজি চালক। পিতা-মাতা ও ছোট ভাইসহ তারা শাহরাস্তি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ ঘুঘুশাল গ্রামে রুহুল আমিনের মালিকানাধীন বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতো। তার মা মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতো। সে স্থানীয় গনবিদ্যালয়ে কাজ শেখা অবস্থায় ১বছর পূর্ব হতে নাওড়া গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের পুত্র ইয়াছিন হোসেন বাদশা (২৩) তাকে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।

ভিকটিম বিষয়টি পিতা-মাতাকে জানালে তারা ইয়াছিনের পিতা-মাতা ও ভাই বিল্লাল হোসেনকে অবহিত করে। তারা বিষয়টি সুরাহা না করে ইয়াছিনকে এ কাজে উৎসাহী করে তোলে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। গত বছরের ৩০ মে সকাল ১০টায় ভিকটিম বাড়ীতে একা থাকার সুযোগে ইয়াছিন তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর-পূর্বক ধর্ষন করে।

পরবর্তিতে ফুসলিয়ে ও বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক অব্যহত থাকলে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় বিষয়টি চাউর হলে ইয়াছিন ও তার ভাইয়েরা ভিকটিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে হুমকি দেয়। উপর্যপুরি হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতির কারনে ভিকটিম পরিবার নাওড়াস্থ ভাড়া বাসা হতে মেহের উত্তর ইউনিয়নের দেবীপুর মিজি বাড়ীতে মোস্তফা হুজুরের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় চলে যায়।

এ ঘটনায় গত ২১ জানুয়ারি ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় মামলা দায়ের করলে শনিবার সকালে শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আনিছুর রহমান ধর্ষক ইয়াছিন হোসেন বাদশা ও তার বড়ভাই বিল্লাল হোসেনকে আটক করতে সক্ষম হয়।