ছি! ছি! এতো খারাপ!

সম্পাদকীয় ….

খারাপেরও সীমা পরিসীমা থাকে! কিন্তু কিছু কিছু মানুষ এতোটা রুচিহীন খারাপ হয় যে, তাদের জন্যে সমাজের মানুষের কষ্ট পেতে হয়। তাদের কারণে সমাজের মানুষের মনে দাগ কেটে যায়। আর ঐ সব খারাপ মানুষ ধীরে ধীরে সমাজের মানুষের কাছে আলোচনায় চলে আসে খারাপ হিসেবে। এ ধরনের মানুষের জন্যে সমাজের সুন্দর কাঠামো ও ভাবমূর্তি হতে হতে শুরু করে। এ ধরনের মানুষ হয় খুবই নির্লজ¦! তাদের চক্ষুলজ্জা বলতে কিছুই থাকে না। ফলে তারা সমাজের মধ্যে আরো দুশ্চরিত্রের মতো কাজ করতে শুরু করে। এ জাতীয় মানুষ এতোটাই অভিনয় জানে যে, তাদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই জীবনের শিক্ষা পেয়ে যায়!

প্রিয় সময়ে প্রকাশিত ‘রাজাপুরে সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় নিজের বসত ঘরে আগুন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির মাধ্যমে পাঠকমাত্র জেনেছে বিস্মিত হওয়ার মতো কাহিনী। এ কাহিনী একজন মহিলাকে নিয়ে।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা পুটিয়াখালী গ্রামে লালমতি(৪০) অদ্ভুত ও দুঃখজনক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি নিজের বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। আর আগুণ লাগানোর দোষ চাপিয়ে দিলেন অন্যের উপর। তার মূল্য উদ্দেশ্য হলো, দোষ চাপিয়ে সরকারি ঘর যেন তিনি পেতে পারেন। এতো কুমন্ত্রণার করেও তিনি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারলেন না।

তিনি নিজের ঘরে আগুণ লাগিয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেছেন। তদন্তের মাধ্যমে লালমতির আসল চেহারা প্রকাশিত হয়ে গেছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিলো। আমরা জেনেছি যে, লালমতি অবৈধভাবে এক ব্যক্তির জমি জবর-দখলের চেষ্ঠা করেছিলো এবং একখণ্ড জমিও দখল করে নিয়েছিলো।

তার কুকীর্তির আরো একটি উদাহরণ আছে যে, ইতিপূর্বে লালমতির ২৮ বছর বয়সী এক প্রতিবেশীর বাড়ীতে ভিক্ষা করতে গেলে ভিক্ষা না দেয়ায় তার জুতা চুরি করে বাড়ীতে এনে রাতে হঠাৎ উক্ত ব্যক্তির নাম ধরে চিৎকার করতে থাকে এবং বলতে থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করার চেষ্ঠা করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করতে থাকে। এতে অসহায় গরীব ছেলেটি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ধর্না দিতে থাকলে তারা তাকে ২০,০০০ টাকা জরিমানা করে লালমতির কাছ থেকে রেহাই করে দেন। এই হলো অসহায় ব্যক্তিদের ফাঁসিয়ে দিয়ে স্বার্থ হাসিলের দুষ্ট কৌশল। জানা গেছে, লালমতির নাকি এ পর্যন্ত ১৪টি বিয়ে হয়েছে। কোনো বিয়েই স্থায়ী হয়নি। সে বিভিন্নভাবে তার প্রতিবেশীদের হয়রানি করে থাকে। তার প্রতারনা থেকে বাঁচতে কেউই মুখ খুলতে চায় না।

আমরা মনে করি, এরা সমাজের কীট। সমাজকে তিলে তিলে কুড়ে কুড়ে কষ্ট দিয়ে ওরা বেঁচে থাকে। এ সমস্ত মানুষের কারণে মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর এই ক্ষোভের প্রতিফলন হঠাৎই একদিন প্রকাশিত হয়ে পড়ে। তখন বিস্ফোরণ ঘটে ও সমাজের বিশাল ক্ষতি হয়ে যায়। বিভিন্ন দুঃখজনক ঘটনা ও মর্মান্তিক ঘটনা এদের কারণেই হয়ে থাকে। আমরা আশা করবো, লালমতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে; যেন এ রকম লালমতির আর বেড়ে উঠতে না পারে।