চাঁদপুরে নিঃস্ব নাতির চিকিৎসাব্যয়ে অসহায় নানা : একটু সহযোগিতায় বাঁচতে চায় শাওন

কবির হোসেন মিজি : বাবা- মা হারা নিঃশ্ব নাতির চিকিৎসা ব্যায়ে চোখের জলে দিন কাটছে এক অসহায় নানার। একদিকে নিজে নিঃস্ব অসহায়, অন্যদিকে মা বাবা হারা এতিম নাতি আব্দুল্লাহ শাওনও অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যা রয়েছে। কি করবে বৃদ্ধ নানা শাহজাহান। কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না। টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় অকালেই চিরতরে নাতিকে হারাবে, এমন ভাবনায় চোখের জলে দিন কাটছে বৃদ্ধ শাহজাহান মিয়ার।

জানাযায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া প্রত্যাশী গ্রামের মোঃ শাহজাহান মিয়ার ১৩ বছর বয়সী নাতি আব্দুল্লাহ শাওন। দীর্ঘদিন ধরে প্রস্রাব জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কখনো ঢাকা কখনো চাঁদপুর। এভাবেই হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটছেন অসহায় নানা শাহজাহান মিয়া। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় অসহায় নাতির চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি। নাতির বিছানার পাশে বসেই সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় মগ্ন হয়ে চোখের জল ফেলছেন এই অসহায় বৃদ্ধ।

বৃদ্ধ শাহজাহান মিয়া জানান, তার নাতি অসুস্থ আব্দুল্লাহ শাওনের ৪ মাস বয়সে তার বাবা রিপন চৌধুরী নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর ৭ বছর বয়সে তার মাতা সাজেদা বেগম তাকে রেখে অন্যস্থানে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই নাতি আব্দুল্লাহ শাওন শিশুকালেই মা বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান। তাকে দেখভাল করার মতো কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় এই দরিদ্র অসহায় বৃদ্ধ নানার কাছেই অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে সে বড় হয়ে ওঠেন।
বৃদ্ধ শাহজাহান মিয়া দুচোখের জল ছেড়ে দিয়ে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, গত দুই মাস পূর্বে তার এই এতিম নাতি প্রসাব জনিত রোগে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার রোগ শুধু অনবরত প্রসাব ঝরে পড়া। এর পাশাপাশি মুখে রুচি না থাকায় সে না খাওয়ার কারনে অল্পতেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার এমন অবস্থা দেখে প্রথমে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাকে ১৪ দিন চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু কি লাভ, যেখানে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে তো নাতিকে ভালো মানের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলার সেই অর্থের সামর্থ্য তার নেই।
তাই মৃত্যু পথযাত্রী এমন অসুস্থ নাতিকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে আবারও তিনি চাঁদপুর ফিরে আসেন। একইভাবে আবারও তাকে ভর্তি করানো হয় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে নিয়মিত সেবা প্রদান করলেও তার শরীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং ওষুধ কেনার মত সেই টাকা পয়সা তার নেই।
এজন্য নিয়তির লিখন কে মেনে নিয়ে অকালে নাতিকে হারানোর কথা ভেবে অঝরেই কাঁদছেন এই অসহায় নানা। তারা কিশোর নাতিকে কেউ যদি টাকা পয়সা দিয়ে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটু উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়া যেতো। তাহলে হয়তো সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতো।
যেখানে নিজেরও তেমন ছেলে সন্তান কিংবা কোন অবলম্বন নেই। সেখানে কি করে তার এই এতিম নাতিকে চিকিৎসা সেবা করাবেন তিনি।
সমাজের বিত্তবানদের কাছে তার অনুরোধ যদি কোন স্বহৃদয়বান ব্যক্তি এই কিশোরের চিকিৎসার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন, তাহলে হয়তো তিনি তার এই অবলম্বন টুকু কে বাঁচাতে পারবেন।তাকে নিয়েই জীবনের বাকি দিনগুলো হাসি মুখে পার করবেন। কেউ যদি আর্থিক সহযোগিতা কিংবা কোন ভাবে সহযোগিতা করতে চান তাহলে বৃদ্ধ নানা শাহাজাহান মিয়া ব্যবহৃত 01904586317 এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা গেলো।