কুমিল্লায় মাদক উদ্ধারে জেলা পুলিশের সবচে বড় সাফল্য!

এসপি’র জিরো টলারেন্স নীতির ইতিবাচক প্রভাব

জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা ব্যুরো:
‘হয় মাদক ছাড়ুন, না হয় কুমিল্লা ছাড়ুন’ মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি এভাবেই হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছিলেন কুমিল্লায় নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

তিনি গেলো ২ জানুয়ারি কুমিল্লার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পরদিন ৩ জানুয়ারি বিকেলে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় মাদক সংশ্লিষ্টদের প্রতি এমন কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বনের কথা উল্লেখ করেন।

এসপি’র এই জিরো টলারেন্স নীতির ফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে জেলায়। ‘একটি গ্রাম থেকে একটি দেশ, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’ এ ¯েøাগানে মাদকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা জেলা পুলিশের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই মাদক উদ্ধারে মাইলফলক অর্জিত হয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশের। দুই টন মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক হাজার ১২ জনকে গেপ্তার করা হয়েছে। এই হিসেব গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। গত ২ জানুয়ারি থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত অভিযানে এসব মাদক উদ্ধার ও সংশ্লিষ্টদের আটক করা হয়। যা মাদক উদ্ধারে অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে অনেক বেশি ও বড় সাফল্য।

বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এসব তথ্য জানান।

জানা গেছে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ২ হাজার ১০ কেজি গাঁজা, ৫৯ হাজার ৯৬৮ পিস ইয়াবা, ৭ হাজার ৫৯২ বোতল ফেন্সিডিল, ৩শ ৬৬ লিটার দেশীয় মদ, ১৬২ বোতল হুইস্কি, বিয়ার ৪৮ বোতল, বিদেশী মদ ৯৬ বোতল, ইস্কাপ সিরাপ ১ হাজার ৩ বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৫ হাজার ৯ শ টাকা।

জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ভারতীয় সীমাবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কুমিল্লা। এ কারনে সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে চুরাইপথে ভারতীয় মাদক সহজেই প্রবেশ করছে এ জেলায়। তিনি বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার রয়েছি। মাদকের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রেস ব্রিফিং কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আজিম-উল-আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মোঃ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সোহান সরকারসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলার আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে সংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশ সুপার বলেন, মানুষের যে কোনও সমস্যা সমাধানে পুলিশ সদস্যরা জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সেবা প্রদান করবেন।