হাজীগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রাম আদালতের এজলাস

জহিরুল ইসলাম জয় :
ছোটখাটো ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধ স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের গ্রাম আদালতের এজলাস তৈরি করা সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে গ্রাম আদালতের এজলাস ।

হাজীগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে নতুন পরিষদের ভবন রয়েছে ১নং রাজারগাঁও, ৩নং কালচোঁ উত্তর, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ও ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে। বাকী ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদে নতুন ভবন স্থাপন না হওয়ায় গ্রাম আদালতের এজলাসে বসার স্থান থেকে বঞ্চিত এসব ইউনিয়নের জনগন। তবে এসব ইউনিয়নের ভবন নির্মানের জন্য ইতিমধ্যে কার্যক্রম হাতে নেয় সরকার যার মধ্যে চলমান রয়েছে ২নং বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবনের কার্যক্রম।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে গ্রাম আদালতের এজলাসে নারী পুরুষের চিত্র। স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট দিনের বাহিরেও উক্ত হল রুমে সরকারী ভাবে প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন গর্ভবতী নারীদের নিয়ে সভা, কৃষকদের নিয়ে কৃষি বিষয়ক আলোচনা, মৎস্যজীবিদের নিয়ে মাছ চাষ বিষয়ক সভাসহ প্রায় সকল কার্যক্রমে ব্যবহার হয়ে আসছে গ্রাম আদালতের এজলাস।

এজলাসে সেবা নিতে আসা নারী মোহছেনা, কামরুন্নাহার, দিলরুবা বেগম বলেন, আগে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে আসলে দাড়ানোর জায়গা পর্যন্ত পেতাম না। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদে এজলাস রুমসহ একাধিক রুম ছাড়াও প্রসাব-পায়খানার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য আমরা বর্তমান সরকারকে এ ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে সাধুবাদ জানাই।

গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর পরই আধুনিক এ ভবনের জন্য চেষ্টা করে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, এ জন্য আমাদের সাংসদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এজলাস রুমে প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন দেন-দরবারসহ সরকারী অনেক সচেতনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন অব্যাহত রয়েছে। মানুষ এখন পরিষদে এসে কৃষি, স্বাস্থ্য, বিভিন্ন কাগজপত্রের সমাধানসহ নানাবিধ কাজের সমাধান অতি সহজে পেয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, এ গ্রাম আদালতের মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র মানুষ জজ আদালতে জমে থাকা মামলার ঘানি এবং হয়রানির হাত থেকে মুক্তি পাবে। গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ ও সালিশি আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে নির্দিষ্ট বিধি অনুযায়ী বিচার সম্পাদনের দায়িত্ব দিয়ে এ আদালত গঠন করা হয়েছে। ফলে শহরে না গিয়ে ঘরে বসেই গ্রাম আদালতের সুবিধা পাওয়া যায়।