ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীতে অবৈধ ড্রেজিং চলছেই

ফরিদগঞ্জ সংবাদদাতা:
ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়া নদী হতে অবৈধ ভাবে ড্রেজিং করে বালি উত্তোলন চলছেই। প্রশাসনের নাকের ডগায় ড্রেজিং চললেও প্রশাসন থাকছে নিরব ভূমিকায়। প্রায় এক মাস যাবৎ চলছে বালি উত্তোলণের মহোৎসব। ডাকাতিয়া নদীর পূর্ব পাড়ে রয়েছে এক শত একর জমি বিশিষ্ট্য ২ টি চর । চর গুড়াড়া দক্ষিন ও চর গুদাড়া উত্তর । চর দুটিতে মাছের সাথে ধান চাষ হচ্ছে এত কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। প্রায় ৫ শতাধীক কৃষকের রুটি রোজগারের এক মাত্র মাধ্যম হলো ধান চাষ ।

গত ক‘ বছর পূর্বে বেড়ি বাঁধ ধসে চরগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি যে ভাবে ড্রেজিং চলছে এতে দুটি চরের কৃষকরা শংকিত হয়ে পড়েছে। বর্ষয় বেড়ি বাধেঁ ধস নেমে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি আংকা করছে মৎস্য চাষিরা। আসন্ন বর্ষায় নদীর দুই পাড়ের জমি ও বসত ভিটা ভেংগে পড়ার আশংকা করছেন অনেকেই।

কৃষক ও মৎস্য চাষীদের মধ্যে শাহাজান বেপারী ,শফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী , রিপন, মিজানুর রহমান ,মেসবাউদ্দিন, হারুরনুর শিদ, মনু খাঁ, দুলাল, মিছির মাল , রুবেলসহ অনেকেই অভিযোগ করে জানান, জরুরী ভাবে ড্রেজার বন্ধনা করলে বেড়ি বাধেঁ ধস নেমে ধান ও মাছ চাষ করা সম্ভব হবে না। আমাদের একমাত্র অবলম্বন চরে ধান ও মাছ চাষ করা। আমরা শত শত কৃষক নিরুপায় হয়ে পড়েছি। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে আমরা বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতিতে পড়তে হবে।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামে নির্মানাধীন ফায়ার সার্ভিসের ভন নির্মানের জায়গা ভরাটের নামে চলছে অবৈধ ভাবে ড্রেজার লাগিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন। এলাকার লোকজন জানায় ,গত এক মাস যাবত চলছে ড্রেজার । ক্ষমতার দাপটে সরকার দলীয় কিছু নেতার যোগসাজসে ওই ড্রেজার চলার প্রাক্কালে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা এই ড্রেজারটি একদিন বন্ধ করতে সক্ষম হলেও পরে আবার চালানো হচ্ছে ড্রেজারটি। ড্রেজার চলাকালিন সময়ে পালাক্রমে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা নদীর পাড়ে বসে পাহারা দিতে দেখা যায়॥

তথ্য সূত্রে জানাযায়, ফায়ার সার্ভিসের জায়গা ভরাট করতে ডাকাতিয়া নদী থেকে বালি উত্তোলনের জন্য সরকারি কোন নির্দেশনা নেই । তবে সরকারর রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে উক্ত বালি উত্থোলন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না য়োয় ক্ষোভ প্রকাশ করছে সংশ্লিষ্ট চর কমিটির লেঅকজন ও কৃষকরা। জানা গেছে, খোদ সরকারি দলের কয়জন নেতার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের স্বার্থেই মূলত ওই বালি উত্তোলন করায় নদীর দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দিনদিন বেড়ে উঠছে।

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সেলনর মো: টিটু বলেন, অবৈধ ভাবে এই ড্রেজারটি চালালো বন্ধে আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসনের লোকজনকে বলেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ভাটিয়ালপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে ড্রেজার বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে নদী খনন করে বালি উত্তোলনের জন্য দলতো কাউকে ক্ষমতা দেয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডাকাতিয়া নদীতে চলা ড্রেজারের বিরুদ্ধে ২/১ দিনের মধ্যে নেয়া হবে।