বিষ্ণুপুরে টুটুল মুন্সির সহযোগীতায় বিধবা নারী পেল স্বপ্নের নতুন ঘর

গাজী মো. মহসিন
তিন ছেলে আর এক মেয়ে সন্তানের জননী মমতাজ বেগম। আট বছর আগে স্বামী তাফাজ্জল মিজিকে হারিয়ে বিধবা হয়ে সন্তানদের থেকেও দূরে যেতে হয়েছে এই বিধবা নারীকে। বড় ২ ছেলে পরিবার নিয়ে আলাধাভাবে তাদের বসবাস। ছোট ছেলে বাবার করা ছোট্ট কুড়ে ঘরটিও নিয়ে বসবাস করে আসছেন। আর মা থাকে অন্যের ঘরে।

একমাত্র মেয়েরও বিয়ে দিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন স্বামী হারা এই নারী। বিধবা মমতাজের একটাই স্বপ্ন ছিল কবে যে, নিজের একটি ছোট্ট ঘর হবে। যেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন নির্ভয়ে। ঘুমাতে পারবেন নিশ্চিন্তে। এমন স্বপ্নে দিন কাটলেও পূরণ হয়নি কারো সহযোগীতায়। নতুন ঘর তৈরি করার সামর্থ্যও ছিল না ৬৫ বছর বয়সী এই বিধবা মমতাজের। অন্যের ঘরে থেকে খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তিনি।

গত কয়েক মাস আগে হঠাৎ একদিন মমতাজ বেগমের এই অবস্থার কথা জানিয়ে নিজ এলাকা চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান টুটুল মুন্সির সাথে দুঃখ ভাগ করে নেন এই বিধবা নারী। মমতাজের সেই দুঃখের কথা ভেবে বিধবার সহায়তায় এগিয়ে এলেন টুটুল মুন্সি। নিজের উদ্যোগে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামীম খানের সহযোগীতায় এলাকার আরো কয়েকজনের আর্থিক সহযোগীতায় বিধবাকে নতুন ঘর করে দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান টুটুল মুন্সি বিধবা মমতাজের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন। নতুন ঘর পেয়ে খুশি বিধবা মমতাজ। তিনি বলেন, ‘ঘরহীন দেখে তারা নতুন ঘর করে দিবেন, এমনটা ভাবতে পারিনি। টুটুল মুন্সিসহ অন্যান্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বিধবা নারী মমতাজ বেগম’।

জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান টুটুল মুন্সি বলেন, এই ভদ্র মহিলার স্বপ্ন ছিল তার নিজের একটা ঘর হবে। প্রাণ ভরে নিঃস্বাস নিবে নিজের ঘরে। তাকে আর কেউ বলতে পারবে না, তুমি আমার ঘর থেকে চলে যাও। সেই বিধবা মহিলার স্বপ্ন পূরণে সামান্য সহযোগীতা করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখো শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে এমন মহৎ কাজে আমাকে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পরিশেষে এটাই বলবো- ‘ইউনিয়নের মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। একজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আজ খুব ভালো লাগছে।