হাজীগঞ্জের আল কাউসার স্কুল এবং মাদ্রাসায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই দেওয়া হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট

মো.মজিবুর রহমান রনি: করোনা সংক্রমন হার ঊর্ধ্বমূখী, আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা ।এই পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া সচল রাখতে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে এসাইমেন্ট ব্যাবস্থা ।আর এই এসাইনমেন্ট দেওয়ার সময় স্বাস্থ্যবিধী মানার বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি সরকারের রয়েছে কঠোরনির্দেশনা ।

কিন্তু সরকারের এই নির্দেশনাকে বড়ু আঙ্গুল দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিধী না মেনে হাজীগঞ্জ আল কাউসার স্কুল এবং মাদ্রাসায় দেওয়া হচ্ছে এসানমেন্ট ।১৯ জুন (শনিবার) সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় ক্লাস রোমে গাদাগাদি করে এক টেবিলে ৩/৪ জন বসিয়ে নেওয়া হচ্ছে ক্লাস ।আমাকে দেখে তাড়াহুড়ো করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ছুটি দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় ।কিসের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে এক শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ক্লাস নিচ্ছিনা এসাইনমেন্ট বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।

আল কাউসার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.জাহাঙ্গির আলম বলেন,একেক দিন একেক ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা আসে তাদের এসাইনমেন্ট বুঝে নেওয়ার জন্য ।স্বাস্থ্যবিধীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধী নিশ্চত করতে সরকারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে ।এবং সে বিষয়ে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের বলি কিন্তু কেউ কথা শুনছেনা ।কার মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন-সবার পকেটে মাস্ক আছে, কিন্তু কেউ কথা শুনছেনা ।শিক্ষকদেরও কার মুখে মাস্ক নেই এমন কি ওনার মুখেও নেই মাস্ক ,এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ওনি তাড়াহুড়ো করে পকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে লাগিয়ে বলেন আমি মাস্ক ব্যাবহার করলে সমস্ত শরীর গাম দিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসে আর শিক্ষকদের সকলের পকেটেই মাস্ক আছে ।

আল কাউসার মাদ্রাসার সুপা:মাওলানা গোলাম ফারুকেরও প্রায় একই রকম বক্তব্য । ওনার এবং শিক্ষকদের মাস্ক নাই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই মাত্র বাহিরে থেকে এসেছি আর শিক্ষকদেরও বলেছি মাস্ক ব্যবহার করতে সবারই পকেটে মাস্ক আছে ।

হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন-আমরা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধী মানার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি ।আল কাউসার স্কুল ও মাদ্রাসার বিষয়ে আগামীকাল ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলবো ।