জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা ব্যুরো: ২২ অক্টোবর ২০২১
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেনকে এখন কুমিল্লায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এসময় সে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করলেও এখন প্রশ্ন উঠেছে- কার নির্দেশে ইকবাল মণ্ডপে কোরআন রেখেছিলো? বিষয়টি বের করে আনাটাই হবে পুলিশের সামনে এখন বড় দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃহষ্পতিবার কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তারের পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকারের নেতৃত্বে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি মাইক্রোবাসেকরে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এম তানভীর আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ইকবালকে পুলিশ লাইনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদ করবে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইকবালকে এখন সেখানেই রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিলো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, পুলিশ লাইন্সে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইকবাল কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন।
সূত্র জানায়, কোরআন রাখার পর হনুমানের মূর্তি থেকে গদা সরিয়ে নেয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তবে কার নির্দেশে এই কাজ করেছেন, তা এখনও ইকবাল জানাননি।
ইকবালের স্বীকার করার বিষয়টি কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক ভাবে না বললেও সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লষণ, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ইকবালের মা, ভাই এবং নানির যে মন্তব্য এসব বিশ্লেষণ করলেই ইকবালের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তবে, বিশ্লেষকরা মনে করছে ইকবাল কার নির্দেশে এ কাজটি করেছিলো পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে বিষয়টি বের করে আনাটাই হবে পুলিশের দায়িত্ব।
এর আগে বৃহষ্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার ভোরে তাকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা করে।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়
