স্বরূপকাঠিতে ৯ শিক্ষার্থীর বিপরীতে চারজন শিক্ষক কর্মরত

স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি
স্বরূপকাঠির দক্ষিন ধলাহার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য চারজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। এ বছর পঞ্চম শ্রেনীতে একজন শিক্ষার্থীও পড়ালেখা করছে না ওই বিদ্যালয়ে ।

কাগজে কলমে ২২ জন শিক্ষার্থীর কথা থাকলেও তার মধ্যে ৮/৯ জনের বেশী ক্লাশে উপস্থিত থাকেন না বলে স্বীকার করেন শিক্ষকরা। চারজন শিক্ষকের বেতন ভাতা, উন্নয়ন ও উপকরণসহ প্রতি বছরে সরকারকে ব্যয় করতে হচ্ছে ২৫ লাখ টাকার বেশী।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা নুর জাহান জানান প্রথম শ্রেনী থেকে চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত ৯/১০ জন শিক্ষার্থী ক্লাশ করতে আসেন। স্থানীয়রা জানান বিদ্যালয়টিতে গত ৭/৮ বছরে গড়ে ২০ জনের বেশী শিক্ষার্থী কখনই ছিলো না। কোনো প্রকার যাছাই বাছাই না করেই সাবেক রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে জাতীয় করণ করা হয়। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন না শিক্ষকসহ স্থানীয়রা।

সরেজমিন গিয়ে দেখাযায় করোনার কারনে সরকারি নির্দেশনা মতে একটি শ্রেনীর পাঠদান করাচ্ছেন একজন শিক্ষক। সেখানে তৃতীয় শ্রেনীতে মাত্র দুইজন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে দেখা গেছে। বাকী দু‘জন শিক্ষক লাইব্রেরীতে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এত কম কেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন,আমি পদোন্নতি পেয়ে অল্প কিছুদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। অনেক দুর থেকে হেটে আসতে হয়।

যদি বেশী শিক্ষার্থী থাকত,তাহলেও আনন্দ পেতাম। ওই ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীর সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইউসুফ আলী বলেন,বেশ ক‘বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী অন্য একটি বিদ্যালয়ের সাথে একিভুত করে দিতে পারেন।