আজ এই অবনীল নীলে
কার কী এসে যাবে বলো!-
বড়োজোর তুমি – আমিহীন,
আমি হয়ে উঠেবো তুমিহীন।
অবেলায় বিপন্ন বড়ো
যেহেতু মর্মধ্বনি বোলে গেছে –
আজ কিছু প্রবনতা হরিদ্রাভ
কাচা লংকা – কিছু প্রবনতা
তবে বলো দেখি
এই যে বসন্ত এলো
তাতে কী বা এলোগেলো
কোথাও পাখি নেই গান গেছে থেমে
ফুল নেই ভুল পড়ে আছে
কোথাও একটানা বেজে চলে
অস্পষ্ট কাকের আওয়াজ
অথচ নিজ কন্ঠে কাক হওয়া ভালো
আড়াল -নিজস্ব আড়ালতা
নিয়ে ভালো এই থেকে যাওয়া।
কাক ভোর ভিজে গন্ধ
কবিতার ধুপচ্ছায়া-
কে হে তুমি, তবে কেনো বোলছো না-
ধ্রুপদী ডাহুক কেনো ডাকে
এ পাড়ায় অমুক বাড়ির বর্ষা কি আসে!
তা ধিন তা তা তা ধিন ধিন তা-
আমি ‘যাই’ বোলে
কেবলি ফিরে আসি, তাই
কতো কেউ আমাকে নিবিড়
করতে চেয়েছিলো খুন
তারা কি জানে
আমি প্রকৃতপ্রস্তাবে ফিরি নাই কোনোদিন
তবু তাকে ফিরে আসা বলি-
আমি নই ফিরে আসে কবিতা আমার ;
সে – রাষ্ট্র যন্ত্রের অযৌন সঙ্গম
ভেঙে দেবে বোলে
কবিতাকে কী করে ফেরাবে –
বলো রঙহীনা তুমি- প্রজাপতি!