রোমান শিকদার স্টাফ রিপোর্টার ( মাদারীপুর)
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পারিবারিক কলহ নিয়ে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ২ সন্তানের জননী আয়েশা আক্তার খুন হন সোমবার রাত আনুমানিক ৮ টায় সময়।
এদি মঙ্গলবার সকালে ঘাতক স্বামী রাজ্জাক তালুকদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের পর স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখেই খুনি স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। শিবচর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চরশ্যামাইল থেকে ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের খালেক তালুকদারের ছেলে অটো চালক রাজ্জাক তালুকদার ও তার ২য় স্ত্রী আয়শা আক্তারের (৩০) সাথে পারিবারিক কলহ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে স্বামী রাজ্জাক তালুকদারের সাথে স্ত্রী আয়শার মোবাইলে কথা বলা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী রাজ্জাক তালুকদার ঘরে থাকা ক্যাচি দিয়ে স্ত্রী আয়েশার পেটে ও নাকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আয়েশার মৃত্যু হয় বলে জানান কর্তবরত চিকিৎসক।
এ ঘটনার পর ঘরে চেঁচামেচি শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আয়েশার নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বললে রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আয়েশাকে নিজের ইজিবাইকে করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্বামী রাজ্জাক তালুকদার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে আয়েশাকে রেখে,স্বামী রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
নিহত আয়েশা বরিশালের আ: মান্নানের মেয়ে। আয়শার শাওন নামের একটি ছেলে ও সিনথিয়া নামের একটি মেয়ে রয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো: আনিসুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের পর ঘাতক স্বামী তার স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ সকাল ১১ টায় ঘাতক রাজ্জাক তালুকদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃত নিহতের স্বামী রাজ্জাক হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেন। পারিবারিক কলহের জেরেই রাগান্বিত হয়ে তার স্ত্রীকে ধারালো কেচি দিয়ে পেটে আঘাত করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।