কুয়াকাটায় টানা তিনদিনের ছুটিতে কাঙ্খিত পর্যটক নেই, হতাশ ব্যবসায়ীরা

জাকারিয়া জাহিদ , কুয়াকাটা প্রতিনিধি :

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভুমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যেখানে শুক্রবারসহ ছুটিরদিনগুলোতে উপচে পড়া ভীড় থাকে। কিন্তুু
শুক্র ও শনিবার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, জিরো পয়েন্ট এলাকায় কিছু পর্যটকদের আনন্দ উল্লাস চোখে পড়লেও ঝাউবন, লেম্বুরবন, সৈকতের পশ্চিম পয়েন্টসহ অনন্য স্পটগুলোতে তেমন পর্যটকদের আনাগোনা নেই।

স্থানীয় ব্যবসায়ী, ফটোগ্রাফার ও পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানায়, ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের আগমন ও ঘূর্ণিঝড় অশনি পরবর্তী সময় হওয়ার কারনে ছুটিরদিনেও পর্যটকদের উপস্থিতি অনেক কম।

সৈকতের ছাতা ও বেঞ্চ ব্যবসায়ী সাইকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার পর্যটক কম হওয়ার কথা না তবে ঘূর্ণিঝড় অশনির কারনে অনেকে আসতে ভয় পাচ্ছে তবে অশনির কোনো প্রভাব এখন নেই।

হোটেল কানশাই ইনের পরিচালক জুয়েল ফরাজি বলেন, ছুটির দিনে মাত্র ৪০% রুম বুকিং রয়েছে। অনেকদিন পরে শুক্রবার রুম খালি রয়েছে। ইদেও তুলনায় পর্যটক খুবই কম।

সাতক্ষীরা থেকে আগত পর্যটক খাদিজা জানায়, পরিবার নিয়ে কুয়াকাটা আসলাম, এরআগেও একদিন শুক্রবার আসছি তখন প্রচুর লোকের চাপ ছিল তবে আজকে লোকজন অনেক কম তাই পরিবেশটা একটু ভিন্ন রকম লাগছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, আপতত পায়রা বন্দর সহ উপকূলীয় এলাকায় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। সামনে পূর্নিমা থাকার কারনে জোয়ারে ডেউয়ের তীব্রতা কিছুটা থাকতে পারে। বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টির প্রভাব নেই তবে বৃষ্টি হলেও সীমিত সময়ের জন্য বৃষ্টি হতে পারে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, সমুদ্র কিছুটা উত্তাল ডেউ রয়েছে যে কারনে আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। গভীর সমুদ্রে কেউ যেন গোসলে না যায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি ও খেয়াল রাখছি।