স্বরূপকাঠিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লোহার পুলের পুরাতন মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ

স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি :

স্বরূপকাঠির সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এমকে সবুর তালুকদারের বিরুদ্ধে লোহার পুলের পুরাতন মালামাল আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময় পাকা পুল নির্মানের কারনে পুরাতন লোহার পুলের মালামাল পরিষদের জিম্মায় রাখার সুযোগে আত্মসাত করেন। গত রোববার রাতে সাগরকান্দা বাজারের তার ব্যক্তিগত গোডাউন থেকে গোপনে কিছু লোহার মুল্যবান ভীম ও এঙ্গেল সরানোর সময় স্থানীয়রা আটক করে সাংবাদিকদের খবর দেন। এর আগেও সাবেক চেয়ারম্যান কে,এম সবুর তালুকদার বেশকিছু লোহার মালামাল সরিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

ওই ইউনিয়নের ফারুক ফরাজি, ফিরোজ হাওলাদার, ফোরকান হাওলাদার, দুলাল ফরাজিসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, ২০১১-১২ অর্থ বছরে জাইকার অর্থায়নে সেহাংগল থেকে সাগরকান্দা হয়ে জিনুহার পর্যন্ত সড়ক নির্মানের সময় ছোট বড় ১৫/১৬টি লোহার ব্রিজ তুলে গার্ডার ব্রিজ নির্মান করা হয়। সে সময়ে, পুরোনো ব্রিজগুলোর লোহার মালামাল জব্দ তালিকা করে ইউপিতে জমা দেয় এলজিইডি। এলজিইডির কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সবুর তালুকদার তা গ্রহন করে পরিষদের গোডাউনে জমা রাখেন। পরে জব্দ করা মালামাল দিয়ে গ্রামীন সড়কে পুল নির্মান করার ফাঁকে তার থেকে কিছু অংশ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান নিজের এলাকায় ভাড়া করা একটি ঘরে নিয়ে রাখেন। পরে সেই মালামাল সেখান থেকে সুযোগমতো ফাঁকে ফাঁকে বিক্রি করে আসছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সাব্বির তালুকদার বলেন, সবুর তালুকদার সরকারি লোহার মালামাল গোপনে ট্রলারে করে পাচার করছিলেন। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো.হুমায়ুন কবির বেপারী অভিযোগ করেন, ২০১১-১২ অর্থ বছরে জাইকার অর্থায়নে সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাংগল বুদ্ধির বাজার থেকে সাগরকান্দা হয়ে জিনুহার পর্যন্ত সড়কের ২১টি ব্রিজ কালভার্ট নির্মানের কাজ করে এলজিইডি।

সে সময়ে, ব্রিজগুলোর মালামাল জব্দ তালিকা করা হয়। এলজিইডির পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সবুর তালুকদারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান ওই মালামালের সামান্য কিছু ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে রেখে বাকী মালামাল তার নিজের হেফাজতে নিয়ে যায়। এর পর থেকে ওইসব মালামালের কোন খোজ মিলেনি। এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কেএম সবুর তালুকদার বলেন, জাইকার কাজের সময় এলজিইডির কাছ থেকে যে মালামাল তাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, পরিষদের রেজুলেশন করে তা দিয়ে এলাকার ছোট বড় বেশ কিছু ব্রিজ নির্মান করা হয়েছে করা হয়েছে। ব্রিজের কাজে ব্যবহার করার পরে বাকী মালামাল পরিষদে রাখা আছে এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় তালিকা করে বর্তমান চেয়ারম্যান হুমাউন বেপারীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাজারে তার ভাড়াকরা ঘরে রাখা মাত্র দু’টি মরিচা ধরা নষ্ট ভীম নিজের ব্যবহারের জন্য কিনেছেন বলে দাবী করেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌফিক আজিজের সাথে কথা বললে তিনি জানান ইউএনও সাহেব তাকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছেন। নথিপত্র দেখে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রিপোর্ট করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী বলা হয়েছে। তিনি রিপোর্ট দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত ওইসব মালামাল বর্তমান চেয়ারম্যান তার নিজের জিম্মায় নিয়ে নিবেন।