দেশ চলছে কোন পথে?

জিএম মুছা :

অদ্ভুত কোন এক প্রাণীর পিঠে চড়ে দেশ চলেছে কোন পথে ,স্বাধীন সার্বভৌম দেশের মানুষ কেন এত উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত, ভয়ে সন্ত্রাস্ত ‌, তাহলে কি দেশের জন্য কোন যুদ্ধের অশনি সংকেত নাকি অন্য কিছু? আমরা তো আর কোন যুদ্ধ চাইনা!

তবে কেন বান্দরবান সীমান্তে মায়ানমারের গোলাবর্ষন, এটি কিসের আলামত জানতে চায় স্বাধীন দেশের মানুষ, তাহলে কি আমাদের দেশের জন্য দুঃখ হবে রোহিঙ্গার- ভাষাণ চরের ,খাগড়াছড়ির -শান্তিবাহিনী যেমন ‘চীনের দুঃখ হোং হো নদী’ বার্মার মায়ানমার সীমান্তে থেকে হঠাৎ হঠাৎ মটারের গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে, কি রহস্য লুকিয়ে আছে পশ্চাতে, এটা কি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত , আমাদের জন্য কি সুসংবাদ না দুঃসংবাদ ?

ভাবতেই বড় অবাক লাগে ‘গরীবের সুন্দরী বউ নাকি সকলের হয় ভাবী’ এদেশটাকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করতে চায়,শক্তিশালী দাতা দেশগুলি নিজেদের যুদ্ধ ঘাঁটি করতে,যে বিষয়টি আমাদের বড় বেশি ভাবিয়ে তোলে , পরাশক্তির দেশগুলির কোন ইন্ধন, কোন উস্কানি বা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার সুড়সুড়ি আছে কিনা ? কোন ঘেরাটোপের ধুম্রজালের মধ্যে আটকা পড়বো কি আমাদের এ দেশ ?

নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্র এলাকার তিন শো পরিবার এখন কোথায় যাবে? আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নির্ঘুম অহর্নিশ, ধুমধুম হেডমেন পাড়া কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন সহস্রাধিক মানুষ- ফাত্রা, ঝিড়ি,রেজু , আমতলী এলাকার বাসিন্দারা এখন , চরম উৎকণ্ঠা, আতঙ্কিত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে, কোথায় যাবে তারা, সরকারের কি টনক নড়বেনা, রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারক মহল কেন নিরব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কেন এত মন্থর,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি নতজানু হয়ে পড়েছে ?

স্বাধীন সার্বভৌম, মাধ্যম আয়ের আমাদের দেশটা কি অনাকর্ষত ভয়ংকর কোন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে? রোহিঙ্গারা তাহলে কি আমাদের গলায় কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে , চট্টগ্রামে খাগছড়ির শান্তি বাহিনীর মতো দেশের নতুন কোন সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে, শংকট উত্তরণের উপায় কি? উপকারের প্রতিদান তাহলে কি, অবশেষে জীবন বাজি রেখে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যুদ্ধ হোলি খেলায় মেতে উঠতে হবে ?