স্বার্থের ভালোবাসা অসভ্য ভালোবাসা

ক্ষুদীরাম দাস :

মিছে আশা, মিছে স্বপ্ন
মিছে ভাবনা, অলীক সুখের বাসা
স্বার্থের ভালোবাসা অসভ্য ভালোবাসা।

ঐ ভালোবাসা চাই না,
যার নাম-নোংরা ভালোবাসা;
পবিত্র ভালোবাসার শব্দগুলো মরে যায়,
জীবন ধ্বংস-কঠিন নরকে ফাঁসা।

টিএসসির পাশে হাত ধরাধরি;
অতপর, জড়াজড়ি করে বসে থাকা যুগল;
অথবা সবুজ বৃক্ষের ভিড়ে যে মানব-মানবী
শ্লীলতার সীমা লংঘন করছে,
ওটাকে ভালোবাসা বলে না!

ভালোবাসা! অন্তরঙ্গ মুহূর্তের
ভিডিও ফাঁস করে দেয়াটা সর্বনাশা বিশ্বাস;
অথবা সর্বনাশা ভালোবাসা!
আবেগ মেশানো কণ্ঠে বলা, ‘জানপাখি!
আমি তোমাকে কখনো ছেড়ে যাব না’;
অথচ ছেড়েই চলে যায়-
এটা স্বার্থের ভালোবাসা অসভ্য ভালোবাসা।

প্রতিশ্রæতি প্রতিশ্রæতি শুধুই প্রতিশ্রæতি
অথচ স্বামী-সন্তান-প্রেমিককে খুন করে,
নষ্ট প্রেমের উচ্ছি¦ষ্ট ভাবনা
আর চোখ ফিরিয়ে নেওয়া সবই জঞ্জাল ভেবে-
এটা স্বার্থের ভালোবাসা অসভ্য ভালোবাসা।

ভালোবাসায় নির্মমতা নেই;
নির্মমতা থাকে স্বার্থের ভেতর।
স্বার্থের ওপিঠে ‘নিষ্ঠুরতা’ আছে
অথবা স্বার্থে লুকিয়ে থাকে বিশ্বাসঘাতকতা।
স্বার্থে বিক্রি হয় ভালোবাসা মোড়কে;
স্বার্থ ফুরোলেই ভালোবাসার দোকান বন্ধ।

তবে কি ভালোবাসা উপন্যাসের পাতায়!
দেবদাস ভালোবেসেছে পারুকে!
পার্বতীর জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে!
ভালোবাসা তাজমহলের পাথরে!
শাহজাহানের বিরহের অশ্রæ!
ভালোবাসা নজরুলের ভেতর, হৃদয়ে!

রঙিন মুখোশ-ভালোবাসা নষ্ট করে
ভালোবাসার এই ছড়াছড়ি,
অথবা ছাড়াছাড়ির খেলা খেলছি।
স্বার্থের শক্ত খোলস ভেঙে
খাঁটি ভালোবাসা বের হয় না।