চালের ড্রামে শিশুর লাশ

জিএম মুছা :

ভোর না হতে মায়ের মনটা কেমন যেন উথাল পাতাল করে যাচ্ছিল, বুঝতে পারিনি সানজিদা জান্নাতের মা শরীফা, অজানা কোন আশঙ্কায় বারবার কেঁপে উঠছিল তার মনটা, হয়তোবা আজ করতে পেরেছিল বড় কোন বিপদের, তার চার বছরের একমাত্র শিশু কন্যাটি শনিবার খেলতে খেলতে হঠাৎ নিখোঁজ হলো বাড়ির আঙ্গিনা হতে, অনেক খোঁজাখুঁজির পরে গোয়েন্দা পুলিশ এসে, গভীর রাতে সানজিদা জান্নাতের লাশ খুঁজে পেলেন, যশোরের সদর উপজেলা পতেঙ্গালি গ্রামের প্রতিবেশীর ঘরের মধ্যে চালের ড্রামে , কে জানতো একটি আপেল সানজিদা জান্নাতের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে?

হৃদয়হীন পাষন্ড প্রতিবেশী নারী আঞ্জুয়ার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিশু সানজিদাকে একটি আপেলের লোভ দেখিয়ে নিজে ঘরে নিয়ে গেল, তারপরে ঘটে গেল হৃদয় বিদারক লোহর্ষক একটি ঘটনা, যে ঘটনা সকলের দু’চোখ ভিজে যায় অশ্রু গড়িয়ে পড়ে টপ টপ করে, মা শরিফার বুক ফাটা আর্তনাদ, সন্তানহারা মায়ের বিলাপ ‘আমার সোনা কি এমন অপরাধ করেছিল’ কতটা নিষ্ঠুর আর পাষণ্ড খুনি ঐ নারী সেও তো একজন মা, কতখানি নিষ্ঠুর আর নির্দয় হলে, একজন মা চাঁদের মত ফুটফুটে ছোট্ট একটি শিশুকে নিজের ঘরের মধ্যে নিয়ে, ব্রা -গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে?

শিশু সানজিদা জান্নাতের মৃত্যুর পূর্বে কি তার করুন চোখের চাহনি মায়াবী দুটি চোখের গড়িয়ে পড়া জল! মা,মা বাবা বাবা ডাকার সেই গগন বিদারী চিৎকার হৃদয়হীন খুনি পাষণ্ড নারীর বুকটাকি এতোটুকু কাঁপেনি? কি করে পেরেছিল , একটি শিশু বাচ্চাকে হত্যা করে তার লাশটি চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখতে, ছোট্ট শিশু সানজিদা জান্নাতের কান্নাকাটি কাকুতি মিনতি কি খুনি পাষাণীর কর্ণ কুহীরে পৌছায়নি, তার বুকটা কি এতটুকু বিদীর্ণ করেনি?