মনপুরায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় ২৫ বিএনপির নেতাকর্মী আহত

মনপুরা প্রতিনিধি :

ভোলার মনপুরায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় উপজেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী পন্ড হয়ে যায়। এতে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করেন মনপুরা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সেলিম মোল্লা। এছাড়াও পরপর দুইবার হামলা চালিয়ে উপজেলা যুবদলের আহবায়কের বাড়ি-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ করেন তিনি।

শনিবার বেলা ১২ টায় দিকে পুরান হাসপাতাল সংলগ্ন সড়ক দিয়ে উপজেলা বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করতে আসা কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নয়ন ফিরে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শামসুদ্দিন মোল্লা, উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছালাউদ্দিন প্রিন্স, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল মেম্বার, যুবদলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা সেলিম, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মোঃ মিজান, যুবদল নেতা মহিউদ্দিন, ওবায়দুল, বাহার, নুরনবী, ইলিয়াস, স্বেচ্ছাসেবক দলের তুহিন, ছাত্রদলের শুভ ফরাজীর নাম পাওয়া যায়।

এদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ছালাউদ্দিন প্রিন্স ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা তুহিনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সেলিম মোল্লা জানান,শনিবার সকাল ১০ টার দিকে অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করতে আসা কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নয়ন সহ নেতাকর্মীরা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শমিসুদ্দিন মোল্লার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে উপজেলা বিএনপির অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনে প্রস্ততি নেয়। এই সময় যুবলীগ-ছাত্রীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে পরপর দুইবার হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন চলে যাওয়ার পথে ফের হামলা চালিয়ে ২৫ নেতা-কর্মীকে আহত করে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়া ভোলা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে এই ঘটনার সাথে আওয়ামীলীগসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবী করে উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির জানান, উপজেলা বিএনপি আলম-নয়ন গ্রæপে বিভক্ত। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এখন আওয়ামীলীগের ওপর দায় চাপাতে চায়।

এই ব্যাপারে মনপুরা থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) লুৎফুর রহমান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। তবে এই ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি।