কুয়াকাটায় রাস উৎসব উপলক্ষে চলছে শেষ মুহুর্তের সাজ সজ্জার কাজ

জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা প্রতিনিধি :

সূর্যোদয় সূর্যাস্ত বেলাভূমি পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান রোববার (২৬ নভেম্বর ) উপলক্ষে চলছে সাজ সজ্জার কাজ। কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে সনাতন ধর্মালম্বীরা রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। কারিগরদের রং তুলির নিপুন ছোয়ায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ১৮ জোড়া যুগল প্রতিমা।সবকিছু সাজনো হচ্ছে নতুন সাজে।পঞ্জিকা মতে রোববার (২৬ নভেম্বর )বিকাল ৩ টা ৪৩ মিনিট থেকে শুরু হবে পূর্ণিমা থাকবে সোমবার (২৭ নভেম্বর ) বিকাল ২টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পূর্ণিমার এ তিথিতে সোমবার(২৭ নভেম্বর ) উষালগ্নে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় পূর্ণিমাতিথীতে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ কুয়াকাটায় সমুদ্রে পূণ্যস্নান করবেন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের নীল জলে পূণ্যস্নান করবেন পূণ্যার্থীরা।

সাগরকন্যা কুয়াকাটায় রোববার (২৬ নভেম্বর) থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান৷ দুদিনব্যাপী রাস মেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে রাতযাপন করলে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে। এমনটাই জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ।

কুয়াকাটা রাসপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, এ বছরও পূর্ণিমা তিথিতে হাজারো তীর্থ যাত্রীদের পদভারে মুখরিত হবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। রোববার (২৬ নভেম্বর )সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রাতভর চলবে নাম কীর্তন, ভাগবৎ পাঠ ও আরতি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের দেশ বরণ্য কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস গান পরিবেশন করবেন।সোমবার (২৭ নভেম্বর )উষালগ্ন থেকে রাস পূর্ণিমা লগ্ন অনুযায়ী সাগর সৈকত কুয়াকাটায় পাপ মোচনের লাভের আশায় নামবে ভক্তদের ঢল। একই দিন সকালে সৈকতে অনেকেই আবার ভিন্ন ভিন্ন মানত করা পূজা দিবেন পুরোহিত এনে। নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষও মিলিত হবে রাস পূজা, সমুদ্র স্নানানুষ্ঠানে।

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের ওসি হাসনাইন পারভেজ জানান, এ বছর বিগত দিনের চেয়েও রাস পূর্নিমায় আগত পর্যটক ও পন্যার্থিদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।