কুমিল্লার সাদাত জুট ইন্ডাস্ট্রিজে করোনা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে ২ সহস্রাধিক শ্রমিক

টি. আর. দিদার, চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

মরণ ব্যাধি নভেল করোনা ভাইরাস সতর্কতায় বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আর সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সাদাত জুট ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড চালু রয়েছে।

ওই মিলটিতে প্রতিদিন পৃথক তিনটি শিফটে ২ সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করছে করোনা ঝুঁকি নিয়ে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চান্দিনা পৌর এলাকার পাশ ঘেঁষে অবস্থিত ওই মিলটি চললেও পাশ্ববর্তী আরও ৩টি জুট মিল বন্ধ রয়েছে।

gif maker

সোমবার (৩০ মার্চ) সাদাত জুট ইন্ডাষ্ট্রিতে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৬টার শিফট শেষ হওয়ায় প্রায় ৭শ শ্রমিক তাদের কাজ শেষে বের হচ্ছে। অপরদিকে দ্বিতীয় শিফটের আরও ৭শ শ্রমিক ভিতরে প্রবেশ করছে। তাদের কারও মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশেরই নেই। স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।

এছাড়া জুট মিলটির প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীদের দেখা যায় খুব কাছ থেকে শ্রমিকদের দেহ তল্লাসী করছে। ওই নিরাপত্তা প্রহরীদেরও কোন মাস্ক ও গøাভস নেই।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শ্রমিক জানান- ‘স্যার, আমরা করোনা-টরোনা বুঝি না। মিল খোলা, আমরারে আইতো কইছে আমরা আইছি। মিল-এ কাজ চলে, আমরা কাজ করতাছি’।

সাদাত জুট মিলের এমন পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে সিবিএ সভাপতি নূরুল ইসলাম উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে আলোচনা করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সাদাত জুট মিলের শ্রমিক সংগঠন সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম জানান- সরকার জুট মিল বন্ধ রাখতে বলেনি। মিল কর্তৃপক্ষ ১ এপ্রিল থেকে বন্ধ রাখবে। সে পর্যন্ত মিলে প্রতিদিন কাজ চলবে।

সাদাত জুট ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন মুঠো ফোনে জানান- ৩১ তারিখ কার্যক্রম শেষে শ্রমিকদের বেতন দিয়ে মিল বন্ধ করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আহাম্মদ কবির জানান- যেখানে ২জন লোক এক সাথে জড়ো হতে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেখানে ২ সহ¯্রাধিক লোকের সমাগম অবশ্যই ঝুঁকিপুর্ণ। বিষয়টি আমি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবো।

এ ব্যাপারে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাকিব হাসান এর সাথে যোগাযোগ করতে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।