চান্দিনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলায় আতংকে এলাকাবাসী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

 

টি. আর. দিদার :
কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার ৩টি এলাকাকে করোনা ভাইরাসের ‘হটস্পট’ হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ওই সব এলাকায় ওষুধ দোকান ব্যতিত সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বেশ কয়েকদিন প্রশাসনের ওই নিষেধাজ্ঞা মেনে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও সম্প্রতি অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভীড় জমতে দেখা গেছে।

ঈদকে সামনে রেখে কাপড় বাজার, জুতা বাজার ও প্রসাধনী দোকানগুলোতে জনজট ছিল লক্ষনীয়।

একদিকে চান্দিনা পৌর এলাকায় করোনার ‘হটস্পট’ অপরদিকে পাশ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলায় করোনার মহামারী এমন পরিস্থিতিতে কিছু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীদের মনগড়া আত্মঘাতি সিদ্ধান্তে বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলায় উপজেলা জুড়ে আতংক বিরাজ করছে।

চান্দিনা পৌর এলাকাসহ উপজেলার সচেতন মহল, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা ওইসব দোকান-পাট বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বাধ্য হয়ে চান্দিনা বাজারে অভিযানে নামে ভ্রাম্যমান আদালত।

সোমবার (১৮ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা আড়াই ঘন্টার অভিযানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নগদ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ¯েœহাশীষ দাশ এর নেতৃত্বে ওই ভ্রাম্যমান আদালতে সহযোগিতা করেন চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আবুল ফয়সল সহ থানা পুলিশের একটি টিম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ¯েœহাশীষ দাশ জানান- চান্দিনায় এ পর্যন্ত ১৭জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬জনের বাড়িই চান্দিনা পৌর এলাকায় এবং বাজারের আশ-পাশের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে চান্দিনা উপজেলাকে ‘রেড জোন’ ঘোষনা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া পৌরসভার বাজারসহ ৩টি স্থানকে আমরা ‘হট স্পট’ হিসেবে ঘোষণা করে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেই বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু অনেক ব্যবসায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।