সাতক্ষীরায় কবর থেকে কিশোরীর মরদেহ তোলার চেষ্টা!

নিউজ ডেস্ক :

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নিদয়া গ্রামে দাফনের ১৭ ঘণ্টা পর এক কিশোরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করার খবর পাওয়া গেছে। তবে মরদেহ থেকে দাফনের কাপড় কেটে নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
কবর থেকে কিশোরীর মরদেহ তোলার চেষ্টা!

পরে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে তার মরদেহ আবারও দাফন করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য অসীম কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিদয়া গ্রামের খোরশেদ সরদার ও সফুরা দম্পতির মেয়ে তানজিলা খাতুন মুন্নি (১৪)। বছর চারেক আগে সফুরা খাতুন একই গ্রামের আনজাম হোসেনের সাথে পুনরায় বিয়ে করেন। মুন্নিও তার মায়ের সাথে আনজামের বাড়িতে থাকতো। পরবর্তীতে মুন্নির ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘ তিন বছর ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল সে।

তবে ৬ মাস আগে মুন্নির ক্যান্সারের তীব্রতা বেড়ে গেলে সে তার মাকে নিয়ে তার বাবা খোরশেদ সরদারের কাছে চলে আসে। এখানে থেকেই সে ক্যান্সারের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল।

বৃহস্পতিবার সকালে মুন্নি মারা যায়। দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা মুন্নির কবর খোঁড়া এবং তার মরদেহ বাইরে বের করা দেখতে পায়। এছাড়া কাফনের কাপড় অনেকাংশে ছেঁড়া দেখতে পায় তারা। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক ভীতি ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করে পুনরায় একই জায়গায় তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

মরদেহ তোলায় কে জড়িত থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য অসীম কুমার জানান, মুন্নির মা সফুরা খাতুনই মরদেহ তোলার বিষয়ে প্রকাশ্য আনজাম হোসেনকে দায়ী করেছেন।

স্থানীয় আর একটি সূত্র জানায়, অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে সফুরা খাতুন তার আগের স্বামী খোরশেদ সরদারের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছিলেন। আনজাম হোসেনকে সফুরা কথা দিয়েছিলেন, মুন্নি সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে নিয়ে তিনি তার বাড়িতে আবার এসে ঘর-সংসার করবেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্যামনগর থানার এসআই খবিরউদ্দীন জানান, খোরশেদ ও আনজাম হোসেনের মধ্যে স্ত্রী সফুরাকে নিয়ে ব্যাপক বিবাদ ছিল। তবে সেই বিবাদের সাথে মুন্নির মরদেহ উত্তোলনের কী সম্পর্ক থাকতে পারে তা বুঝা যাচ্ছে না। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।