মোঃ মাসুদুল আলম অপু, স্বরূপকাঠী প্রতিনিধি :
স্বরূপকাঠিতে জোয়ারের সময় হাটু সমান পানিতে ডুবে যায় প্রায় অর্ধশত ত্রাণের ঘর । বর্ষা মৌসুমে এক থেকে দেড় ফুট পানির নিচে ডুবে থাকা বসত ঘরের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে দরিদ্র পরিবার গুলোকে। রান্না করা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়াসহ মলমুত্র ত্যাগেও সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সরকারি ঘরের বাসিন্দারা।
খালের চরে অথবা নিচু জমিতে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট না করেই এ সব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সমতল ভুমি অথবা খালের পাড়ের রাস্তা থেকে ওইসব ঘরের ভিত (ফ্লোর) অনেক নিচে থাকায় জোয়ারের সময় সহজেই ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যায়।
নির্মাণের সময় ইটের গাথুনীর ভিত প্রয়োজন মত উঁচু করা হয়নি। মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে এতদিনে দরিদ্ররা কোনো অভিযোগ তোলেনি। আমাবশ্যা অথবা পূর্ণিমার জোর সময় পানির চাপ বেশী থাকায় অনেক পরিবার বসত ঘর ফেলে রেখে অন্যত্র অবস্থান করে।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় জিরবাড়ি এলাকায় বাদল মিয়া ও সামছের আলীর ঘরের মধ্যে হাটু সমান পানি। ওই পরিবারগুলো ঘরের বাইরে গিয়ে অবস্থান করে ভাটির টানের অপেক্ষায় থাকেন।
বাদলের স্ত্রী পারভীন জানান, খাটের ওপর চুলা বসিয়ে দুপুরে রান্না করেছেন। এখন পাশের উঁচু রাস্তায় বসে থাকব অথবা সামনের বাড়ি গিয়ে বসব। পরে ভাটির সময় পানি কমলে ঘরে যাবেন জানান পারভীন। বৃদ্ধ সামছের আলী বলেন, ঢাল চরে ঘর করার সময় নিজেরা মাটি দিয়ে ভিটি উঁচু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্যারেরা তাড়াতাড়ি ঘর বানানোর জন্য মাটি ভরাটের সময় দেয়নি। সোনারগোপ এলাকার বিন্না খালের চরে নির্মান করা তিনটি ঘর মনে হয় নদীর মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে।
এর একজন বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন জোয়ারের সময় পানিতে ঘরের পোতা (মেঝে) ডুবে যায় বলে পাশের বাড়িতে থাকি। কামারকাঠি খালের পাড়ে ৭/৮টি ঘর রাস্তা থেকে নিঁচু জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে।
একটি ঘরের মালিক দুলালের রুবেল বলেন, জোয়ারের সময় ঘরে পানি ডোকার পর অন্যান্য মালামালের সাথে জ্বালানী কাঠ পর্যন্ত ভিজে গেছে। তারপর ঘর তালা মেরে পাশেই থাকি। আটঘর কুড়িয়ানা ও সমদেয়কাঠি খালের পাড়ে নির্মান করা বেশ ক‘টি ঘর পানিতে তলিয়ে যেত।
ওই ঘরগুলো বরিশাল, পিরোজপুর মেইন সড়কের পাশে হওয়ায় পানি ঠেকাতে বেড়িবাঁধ দিয়ে বালি ফেলে দিয়েছেন পিআইও। বেড়িবাঁধ দিয়ে বালু ফেলা হলেও এখন সামনের উঠোন আর ঘরের ফ্লোর সমান হয়ে গেছে।
ভূমিহীনদের ঘরের মধ্যে জোয়ারের পানি ঢোকার বিষয় জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানষ কুমার দাস বলেন, নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ৫/৭টি ঘরের সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া প্রথম দিকে জরুরীভাবে কয়েকটি ঘর করতে যেয়ে যেটুকু সমস্যা হয়েছিল, তা এখন মাটি ভরাট দিয়ে বসবাসের উপযোগী করে দিচ্ছি।
আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়
আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ
আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়
আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ
আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?
