জুমার নামাজ ও উহার আদবসমূহ

মোঃ  রফিকুল ইসলাম :

হে মুসলিম-মু’মিন ভাইয়েরা!

“জুমআর দিনে যখন নামাযের জন্য আযান দেওয়া হবে তখন আল্লাহ পাকের জিকির-খুৎবা শ্রবণের জন্য ধাবিত হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করবে। যদি তোমরা জ্ঞানী হও তাহলে এটাই তোমাদের জন্য উত্তম বলে বিবেচিত হবে।” (সূরা আল-জুমুআহ-৯)।

আর জেনে রাখুন, মহান আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদীয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত বলে অধিষ্ঠিত করেছেন এবং তাদের জন্য সপ্তাহের মধ্যে জুমার দিন কে সায়্যিদুল আইয়াম হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। যা ইহুদীদের শনিবার এবং খ্রিষ্টানদের রবিবারের চেয়েও উত্তম ও উৎকৃষ্ট।

আর তিনি জুমার দিন কে সপ্তাহিক জুমার নামাজ শরীয়ত সম্মত করে দিয়েছেন যা জোহরের নামাজের স্থলাভিষিক্ত।এটা মহান আল্লাহর পক্ষ হতে আমাদের প্রতি তার বিরাট অনুগ্রহ।
এ প্রসঙ্গে বহু হাদীস রয়েছে।

যেমন : হযরত জাবির (রাঃ)-হতে বর্ণীত,রাসূল (সাঃ)ইরশাদ করেনঃ-মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি জুমার নামাজকে ফরজ করে দিয়েছেন এ স্থানে,এ মাসে,এ বছরে কিয়ামত পর্যন্ত।

যে ব্যক্তি আমার যুগে বা পরবর্তী যুগে চাই তার ইমাম (রাষ্ট্রপতি) ন্যায়পরায়ণ হোক বা অত্যাচারী হোক তুচ্ছ বা এনকার বশত জুমার নামাজ ছেড়ে দিবে,

মহান আল্লাহ পাক তার দিন-দুনিয়ার কোন কাজে বরকত দিবেন না।সাবধান!
এহেন ব্যক্তির নামাজ,যাকাত,হজ্জ,রোজা ও কোন নেকী আল্লাহ পাকের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না, যে পর্যন্ত না সে তওবা করবে।অতএব,যে ব্যক্তি তওবা করবে আল্লাহ পাক তার তওবা কবুল করবেন। (ইবনে মাজাহ)।

হযরত উমর ও আবু হুরায়রা (রাঃ)-থেকে বর্নীত রাসূল (সাঃ)-ইরশাদ করেনঃ-শেষ জামানায় জুমার নামাজ তরককারী একদল লোক বের হবে,আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরে মহর মেরে দিবেন অতঃপর তারা আল্লাহকে ভুলে যাবে। (মুসলিম শরীফ)।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)-হতে বর্ণীতঃরাসূল (সাঃ)-ইরশাদ করেনঃ-যখন জুমার দিন উপস্থিত হয়, ফেরেশতাগণ মসজিদের দরজার উপর দাঁড়িয়ে যান এবং কে সর্বপ্রথম আসলো তারপর কে আসলো এভাবে লিখতে থাকেন।

যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম আসে সে একটি উট সদকা করার সাওয়াব পাবে,তারপর যে আসবে সে একটি গরু সদকা করার সাওয়াব পাবে।

তারপর যে আসবে সে একটি বকরি সদকা করার সাওয়াব পাবে আর পরবর্তীজন একটি মুরগী তৎপরবর্তী জন একটি ডিম সদকা করার সাওয়াব পাবে।অতঃপর যখন ইমাম খুৎবা দিতে বের হন ফেরেশতাগণ তাদের দপ্তর বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন।
(বুখারী-মুসলিম)।

হযরত আবু লুবাবা বিন আব্দুল মুনজির (রাঃ)-থেকে বর্ণীতঃ-রাসূল (সাঃ)-ইরশাদ করেনঃ-জুমার দিন হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন মহান আল্লাহ পাকের নিকট বিরাট সম্মানিত দিন,এমনকি আল্লাহ পাকের নিকট উহা ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আজহার চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
(ইবনে মাজাহ)।

পরিশেষে মহান আল্লাহ পাক আমাদের ও আপনাদেরকে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বরকত দান করুক বিতাড়িত শয়তানের অনিষ্ট হতে মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করছি।

লেখক পরিচিতি : মোঃ  রফিকুল ইসলাম। শিক্ষার্থী : ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?