‘মানসিক সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প-এর আওতায় পরিবহন চালক ও সহযোগিদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ের বাস্তবায়নে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

১২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন তারা যদি মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণের বিষয়ে জেনে থাকেন তাহলে আশা করি শব্দ দূষনের বিষয়ে তারা অবশ্যই সচেতন হবেন। যারা পরিবহন চালক তাদের কারনে শব্দদূষণ হলেও, এর বাহিরেও অনেক শব্দ দূষণ রয়েছে। যেমন বিমান, জাহাজ, এবং অনুষ্ঠানেও শব্দ দূষণ হয়ে থাকে। এসব শব্দ দূষণের কারণে অনেকের শারিরীক সমস্যা হচ্ছে, কোমলমতি শিশুদেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এসব শব্দ দূষণ প্রতিরোধে যে বিষয়ে আজ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এ বিষয়গুলো খেয়াল রেখে শব্দদূষণের প্রতি আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্ল্যাহ, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজিম উদ্দিন শেখ।

পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায় বলেন, শব্দ দূষণে কোন গর্ভবতী মা যদি বাহিরে বের হয়। তাহলে সে শব্দ দূষণের কারনে ওই অনাগত শিশুটি যে মেধা নিয়ে পৃথিবীতে আসার কথা। দেখা গেছে শব্দ দূষণে সেই শিশুটি সেরকম মেধা নিয়ে জন্মায়নি। অনেক শিশু বৃদ্ধি প্রতিবন্ধীর মতো জন্ম গ্রহন করে। এছাড়া অনেকের কানে সমস্যা হয়, কানে শুনতে পায়না। যারা চালক বা বাহিরে কাজ করেন তারা এই শব্দ দূষণে অনেকের মেজাজ খিটে খিটে থাকে। তখন বাসা বাড়িতে গেলে তাদের কাছে সন্তানদের আবদার বায়নাও ভালো লাগেনি।

শব্দদূষণ যেভাবে কমানো যায় আমরা সে বিষয়ে সচেতন থাকবো। যেসব যানবাহন গুলো রয়েছে তারা যেনো হাইডলিক হরণ ব্যবহার না করার সে বিষয়ে আহবান থাকলো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, শব্দ দূষণের কারণে অনেকের মানুষের জীবনে অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন মানসিক সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, এগুলো কিন্তু শব্দ দূষণের একটি অন্যতম কারণ। এছাড়া শব্দ দূষণে মানুষের পেশার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর সেটি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। পরিবেশ দূষণ এবং যানবাহনের ধোঁয়া থেকে অনেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই হাইড্রোলিক হরণ বাজানো থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে। যতটুকু মাত্রায় হরণ ব্যবহার করলে মানুষের ক্ষতি বা শব্দ দূষণ হবে না ততটুকু মাত্রায় হরণ বাজানো বাজাতে হবে।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?