কে রুধিবে কে কার দন্ড?

জিএম মুছা :

অহর্নিশ শুধুই শুনি চারিদিকে নির্যাতিত নিষ্পেষিত ক্ষুধিত – বঞ্চিত অসহায় মানুষের গগন ভেদি চিৎকার,মানবতার বুক ফাটা বোবা কান্না বাতাসে ভেসে বেড়ায়, ফিস ফিস গোঙানির শব্দ শুনি, পেশি শক্তির তৈরি কঠিন ফাঁদে পড়ে, মানুষ হয়ে যায় অসহায় নিরীহ বন্য প্রাণী হরিণের মতো, করুন চোখের অশ্রু /জলে দু,চোখ ভিজে যায়, আকাশচুম্বী অত্যাচারির খড়গের ফলায় শুধু আগুনের ফুলকি ওড়ে , কে আছে এমন নেভাতে পারে সূতীক্ষ্ম খড়গের অগ্নি ফলা, কে কাকে রুধিবে কে জানে তাহা ?

নরকের প্রহরী জল্লাদেরা এখন খোশ গল্পে মত্ত দিবা রাত্র ,নিশাচর হুতুম প্যাঁচার করাল দৃষ্টিতে, আঁধারের আড়াল থেকে চেয়ে চেয়ে দেখে স্বর্গের প্রহরীর, নিশাচর হুতুম প্যাঁচা করাল দৃষ্টিতে, কখন কি ঘটে যাবে কে বলতে পারে তাহা !

কেবলই বিশ্ব বিধাত্রী জানে , রাজ দন্ড কে রুধিবে, মানুষ না কি রাজা, রাজাধীরাজ নাকি বিধাতা, ক্ষুধিতের ক্ষুধা- কোথায় মানবতা, বেঁচে থাকার অধিকার ? নারী শিশু আবাল বৃদ্ধ বণিতার স্বাধীনভাবে চলার কোথায় সেই মুক্তির সনদ, শুধুই জানেন বিশ্ব বিধাত্রী! হুকুম তামিল করতে ইস্রাফিল ফুক দিবেন সিঙ্গায়! মর্ত্তলোকের শর্ত দিয়ে শাসন চালায় ওরা, কার কাছে চাইবো বিচার ?

সকলেই যেন দলভুক্ত শাসক শোষকের,শুধু অসহায়ের রক্ত চুষে নিজের জন্য গড়ে তোলে বহু তল ভবন, রাজপ্রাসাদ, অট্টালিকা কোটি কোটি টাকার পাহাড়, কে রুধিবে কে কার দন্ড ? কবে আসবে সেই দিন ফিরে, স্বাধীন দেশে, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা?

জানেন কেবলই বিশ্ব বিধাত্রী, সেদিন আর বেশি দূরে নয়, জেগেছে তরুণ জেগেছে বীর উঁচু করে শির ভেঙে দেবে অত্যাচারীর অগ্নি শিখার তীর, নয় তারা ভীতু,নয় ভীরু কাপুরুষ, কসম সত্য সেই সত্তার যার হাতে লেখা আছে সকল মানুষের আছে জন্ম – মৃত্যুর সনদ ।