জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা ব্যুরো: ২২ অক্টোবর ২০২১
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নত হরা হয়েছে যেই সিসি টিভির কল্যাণে, সেই সিসি টিভির ফুটেজ নিয়েই নানা রকম নেতিবাচক গুঞ্জণ শুুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সিসি টিভির ফুটেজে বলছে- সহিংসতার আগের রাতে ইকবাল দারোগাবাড়ী মসজিদ থেকে কোরআন শরিফটি হাতে নিয়ে পূজামণ্ডপে দিকে রওনা হয়। এরপর হনুমানের মূর্তির ওপর কোলে কোরআন রেখে গদাটি নিয়ে ফিরে আসে ইকবাল। এসব দৃশ্য ধরা পড়েছে ওই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরায়। যার ফলে পুলিশের পক্ষে ইকবালকে সহযেই বের করতে সক্ষম হয়।
তবে, মসজিদ থেকে কোরআন হাতে ইকবালের বেরিয়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনার ঝড়। ফুটেজে কখনও জুম ইন, নড়াচড়া, ঝকঝকে ছবি এবং ক্যামেরা প্যান (ঘোরানো) নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ আবার কেউ এই ফুটেজের সত্যতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন এটি সাজানো নাটক কি না?
বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যলোচনা করে দেখাগেছে- অভিযুক্ত ইকবাল সহিংসতার আগের রাতে মসজিদ থেকে কোরআন শরিফটি নিয়ে পূজামণ্ডপে দিকে রওনা হয়। তখন রাত ২টা ১০ মিনিট। এসময় সিসিটিভি ক্যামেরাটি ইকবালের চলার গতির সাথে ঘুরছিলো (প্যান) এবং জুম হচ্ছিলো। অনেকের প্রশ্ন- ইকবাল মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে বের হবার সময় সিসিটিভি ফুটেজ জুম হলো কিভাবে? এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ইকবালের কোরআন শরিফ নেয়ার দৃশ্যটি ধরা পড়ে মাজারের পূর্ব পাশের পুকুরের পূর্বপাড়ের একটি বাসার লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। মূলতঃ ওই পুকুরের মাছ পাহারার জন্যেই এই সিসিটিভি ক্যামেরাটি লাগিয়েছিলেন ‘আশার আলো’ নামের ওই বাড়ির মালিক সাইদুর রহমান।
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে অভিজ্ঞদের সাথে, বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে এবং তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা গেছে। বাড়ির মালিক সাইদুর রহমান, দারোগাবাড়ী মসজিদের সামনের পুকুরটি আড়াই লাখ টাকায় তিন বছর আগে ইজারা নিয়ে তাতে শখের বসে মাছ চাষ করেন।
আর এই পুকুরের মাছ চুরি রোধে বাড়িটির বাইরের দিকের দোতলায় উন্নত প্রযুক্তির একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন সাইদুর। আধুনিক প্রযুক্তির এই ক্যামেরাটি প্রতি চার মিনিট অন্তর অন্তর ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের মুভ করে। মূল ক্যামেরার আশপাশে আরও চারটি ফিক্সড ক্যামেরা রয়েছে। সাইদুর জানান, তিনি মোট ৮০ হাজার টাকায় পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেন। এ ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা সাধারণ ক্যামেরার চেয়ে ৩০ গুণ অপটিক্যাল জুম করে অবজেক্টের ছবি নিতে সক্ষম এবং অপটিক্যাল জুম করে আধা কিলোমিটার দূরের বস্তুও পরিষ্কারভাবে ধারণ করমে সক্ষম।
তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ক্যামেরার ফুটে নিয়ে গেছে। ইকবালের কোরআন নেয়ার দৃশ্য সাইদুরের বাড়ির বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এর মধ্যে আলোচিত ফুটেজটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ইউএনভি ক্যামেরার।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ