পাট দিয়ে বেঁধে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর :

মেহেরপুরে আলম নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহত আলমের স্ত্রী ও জেলার গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের আহসান আলীর মেয়ে সাফিয়া খাতুন। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আসির উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে খোকন, একই উপজেলার শংকর চন্দ্রপুর গ্রামের টেঙ্গর ওরফে হোসেন আলীর ছেলে মুকুল ও আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আসাদুল।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কাজি শহীদ বলেন, ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের একটি সড়ক থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের দুই হাত পাট দিয়ে বাঁধা ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে তিনি বলিয়ারপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে আলম বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়।

এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৭-৮ জনের নামে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন বাড়াদী ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুস সালাম মিয়া প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্য প্রদান শেষে নিহত আলমের স্ত্রী সাফিয়া খাতুনসহ অন্য তিন আসামি খোকন, মুকুল, আসাদুল দোষী প্রমাণিত হন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।