শেরপুরের শ্রীবরদীতে পেট্রোল ঢেলে মাকে পুড়িয়ে হত্যা

মো. জাকারিয়া খান জাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :
শেরপুরের শ্রীবরদীতে মায়ের শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলে আবু হানিফের (১৪) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করেছে।

১৭ অক্টোবর শনিবার দুপুরে পৌর শহরের তাঁতিহাটি পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। হুনুফা বেগম ওই এলাকার সদাগর আলীর স্ত্রী ও শেরপুর শহরের চকপাঠক এলাকার আলাউদ্দির মেয়ে।

জানা গেছে, মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় গত ১১ অক্টোবর রাতে মায়ের শরীরে প্রেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ছেলে হানিফ। পরে আহত আস্থায় মা হনুফা বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকায় হস্তান্তর করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। ১৬ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় হুনুফা বেগমের ভাই দুলাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিকেলে হানিফকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত হুনুফা বেগমের ৩ ছেলে-মেয়ের মধ্যে আবু হানিফ সবার বড়। সে কিছুদিন যাবত মায়ের কাছে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার আবদার করছিলো। এতে মা হুনুফা বেগম রাজী না হওয়ায় গত রোববার রাতে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হানিফ।

অগ্নিদগ্ধ হুনুফাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে জেলা সদর হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার হুনুফা মারা যান।

স্থানীয় কাউন্সিলর আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, ওই ছেলেকে এর আগেও একটা মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিল তার পরিবার। ফের মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। ঘটনাটি মর্মান্তিক।

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হানিফকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

১৭ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ০১ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৯ সফর ১৪৪২ হিজরি, শনিবার