দোহারে মোবাইল চোরকে সাজা না দিয়ে দফারফা করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামে একটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১০ হাজার টাকার বিনিময় দফারফা করার অভিযোগ উঠে এসেছে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সারোয়ার মোল্লার ওপর।

ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তার (২২) জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে আমি বাইরে বের হলে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা এক যুবক আমার হাতের স্যামসাং মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় আমার আত্মচিৎকারে স্থানীরা ছিনতাইকারীকে আটক করে পরে ইউপি সদস্যর কাছে নিয়ে যায়। পরে জানা যায় ছিনতাইকারী একই এলাকার আলাল ফকিরের ছেলে মো.আলী(২৮)।

রাবেয়া আরও জানান, ঘটনার পরদিন শুক্রবার আমার বাবা ও এলাকার লোকজন এবং সারোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে বিচারে মোবাইল ফোন বাবদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই টাকা আমি এখনো হাতে পায়নি আগামী শুক্রবার তারা সেই টাকা দিবে বলে জানিয়েছে।

এবিষয়ে ইউপি সদস্য সারোয়ার মোল্লার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি বিচারে উপস্থিত ছিলাম কিন্তু বিচার কার্য সম্পাদন করি নি। বিচার কার্য সম্পাদন করেছে মিলন চৌকদার ও চাঁন মোল্লা। রাবেয়া সেখানে ছিলনা তার বাবা চাচারা ছিল সেখানে আর তারাই এর সমাধান করেন।

বিচারের বিষয় মিলন চৌকদারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মেয়ের এলাকার লোক ও ছেলের এলাকা লোক সে জন্য দুই পরিবারের ২৫ থেকে ৩০ জন মিলে এটি মিমাংসা করে দেওয়া হয়। যেহেতু ছেলে এলাকার ও মেয়েও এলাকার সে জন্য এলাকার গন্য মান্য ব্যাক্তিরা মিলে এটি মোবাইলের বিষয়টি মিমাংসা করে দেই।এখানে কোন বিচার হয়নি দুই পরিবারের মাঝে মিমাংসা করা হয়েছে।

এ বিষয় বিলাসপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয় কিছু জানিনা তারা আমাকে এ বিষয় কিছু বলেনি।

এ বিষয়ে কথা বললে আলীর ভাই মোঃ শাহিন বলেন, আমার ভাইয়ের মাথায় একটু সমস্যা আছে সে জন্য হয়তো সে এ-ধরনের কাজ করেছে। এলাকার মুরোব্বিরা মিলে এই বিষয় টার সমাধান করে দিয়েছে। এখন তার ভুল বুঝতে পারলে হয়তো সে আর এধরনের কাজ কখনে করবে না। ঐ মেয়ের যে মোবাইল ফোনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে সে মোবাইল ফোনটি আমরা কিনে দিবে বলেছি।