কিচ্ছাপালা জগতের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী রানা বাপ্পী দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী :
সামাজিকতা ও মানবিকতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে এই সমাজ ও দেশ। তবে যে কোন পেশায় থেকে সেই ব্যক্তি সমাজ তথা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন। যদি কিনা তার হৃদয়ের দেশপ্রেমকে লালন করতে পারেন। আর এমনি ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের কিচ্ছাপালা জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মোঃ আয়নাল হক (রানা বাপ্পী)। এই শিল্পী সর্বমহলে রানা বাপ্পী নামে পরিচিত। যিনি সমাজ বিনির্মাণে আলোকবর্তিকার মতো কাজ করে যাচ্ছেন নিরবে নিঃভূত্তে।

প্রত্যেক মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে। সে স্বপ্নকে ধরেই প্রত্যেকে নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। আর সেই স্বপ্নকে লালন করে কাজের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী রানা বাপ্পী।

তিনি স্বপ্ন দেখে এবং সেটি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে ঘামঝরানাে পরিশ্রম করে। কথায় আছে ‘পরিশ্রম হলাে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং সঠিক পরিশ্রম থাকলেই যে কোনাে কঠিনকে জয় করা যায় সহজেই।

রানা বাপ্পী তাঁর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে হেঁটে চলছেন সাফল্যের পথধরে।

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চকপাড়া বড়শিলা গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। তার ডাক নাম মোঃ আয়নাল হক। বর্তমান সময়ে এই শিল্পীকে সকলের কাছে রানা বাপ্পী নামেই পরিচিতি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকে তাঁর মধ্যে মিডিয়াতে কাজ করার জোকটা পেয়ে বসে। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত মানিয়ে নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের কিচ্ছাপালা জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পি তিনি।

 

এই শিল্পী ২০০৬ সালে মিডিয়াতে কাজ শুরু করেন। তিনি এরপর থেকে একে একে ২’ হাজারেরও বেশি গ্রামীন কিচ্ছাপালায় কন্ঠ দিয়েছেন। তাঁর বেশকিছু কাজ ইতিমধ্যে অভাবনীয় জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

রানা বাপ্পীর উল্লেখযােগ্য কাজগুলো হলো: এক রশিতে দুই ফাঁসি, প্রবন আলীর কিচ্ছা, শ্রমিকের জিন্দা লাস, রানা প্লাজা, নদীর বুকে মা সন্তানের লাশ, ক্যারাপুকার বাঁশা, একদিনে তিন সন্তানের জানাজা, মায়ের কবরে সন্তানের লাশ, কচুর শাক খেয়ে দুই সন্তানের মরন। এই সকল কাজগুলো তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রানা মিডিয়া থেকে রিলিজ হয়েছে। যার ভিউ রয়েছে কয়েক মিলিয়ন করে।

 

এছাড়াও ভাইয়ের গলায় জুতার মালা, ভাইয়ের কাঁদে বোনের লাশ, ভ্যান গাড়িতে বোনের লাশ, ভাই বোনের বিয়ে, সুন্দরী হিজড়া গর্ভবতী, ননদ ভাবীর পরকীয়া, শাশুড়ির অত্যাচার বউয়ের মরনসহ অসংখ্য ভিডিও রয়েছে তার কয়েক মিলিয়ন করে ভিউয়ার্স।

এই শিল্পীর কন্ঠে প্রায় ৫’ শতাধিকের বেশি ইউটিউব চ্যানেলে রয়েছে তার গাওয়া ভিডিও। তিনি বাংলাদেশের কিচ্ছা পালা জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন কন্ঠশিল্পী। ইউটিউব চ্যানেল গুলো তার কণ্ঠে গাওয়া ভিডিও নির্মাণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

 

কন্ঠশিল্পী রানা বাপ্পীর রয়েছে ২ টি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ও ১টি পেইজ, যার নাম রানা মিডিয়া, রানা বাপ্পী, ও সিঙ্গার রানা বাপ্পী অফিসিয়াল ফ্যান্স ক্লাব।

রানা বাপ্পী জানান, আমাকে এই এই অবস্থায় আসার পেছনে সহযােগিতা করেছেন আমার বাবা- মা, আত্বীয় স্বজন, বন্ধু- বান্ধব, পরিচালক, পাশাপাশি শুভানুধ্যায়ীরা। তাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 

রানা বাপ্পীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রত্যেক মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে, সে স্বপ্নকে ধরেই প্রত্যেকে নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। আমারও একটা স্বপ্ন আছে, যখন মিডিয়ার অঙ্গনের সাথে সম্পৃক্ত হই তখন থেকেই এই স্বপ্ন অন্তরে লালন করে আসছি। আর সেটা হল দর্শকদের মনে নিজেকে আলোকিত করে তোলা। ধীরে ধীরে সফলতায় পৌঁছাচ্ছি অনেক দূর, এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। সাফল্য আমার আসবেই ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, রানা বাপ্পী মিডিয়াকে ভালোবেসে হৃদয়ে লালন করে একজন শিল্পী হয়ে দেশ ও দশের জন্য কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলছে। এজন্যে তিনি ভবিষ্যত পথচলায় সবার সহযােগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।