লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবির সারিতে এমপি ছবি : ক্ষোভ

মো. হৃদয় হোসেন, রায়পুর প্রতিনিধি  :

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সারিতে স্বতন্ত্র এমপি ও মহিলা এমপি’র ছবি। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের অফিসের চিত্র এটি।

এমপি’র এক সমর্থকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক একাউন্ট থেকে ছবিটি আপলোড করা হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরস্থ এমপি’র অফিসের দেওয়ালে টানানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সারিতে ডানে স্বতন্ত্র এমপি পাপুলের ও বামে তারই স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের মহিলা (আসন-৩৪৯) এমপি সেলিনা ইসলামের ছবি।

একই সারিতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে এমপি দম্পত্তির ছবি ফেইসবুকে দেখতে পেয়ে অনেকেইে এর সমালোচনা করছেন। তাছাড়া ছবি টানানোর বিধি অনুযায়ী যেখানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানো থাকবে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকবে ডানে এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে বামে। এমপি’র অফিসে সেটাও মান্য করা হয়নি।

gif maker

এ প্রসংগে আ’লীগ নেতা ও সাধারণ মানুষের বক্তব্য, একজন সাংসদের ছবি টানানোর বিষয়ে জ্ঞান থাকা উচিৎ। তাদের ভাষ্যে, আমরা সবাই দেশকে ভালবাসি, বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ভালবাসি। তাই তাদের অসম্মান করে তাদের সারিতে নিজেদের ছবি টানিয়ে নিজেদের অস্তিত্বকে অসম্মান করতে পারি না। সাংসদ পাপুলের এটা চরম ধৃষ্টতা।

সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোথাও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সাথে অন্য কোন নেতার ছবি দেখা দেখা যায়নি।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪-এ বলা হয়েছে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারি ও আধা সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করিতে হইবে।’ একই সারিতে অন্য কারো ছবি থাকতে পারবে না।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সাথে নিজের ও স্ত্রীর ছবি বসানোর কারণ জানার জন্য কুয়েত প্রবাসী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এমপি’র সাথে কথা বলতে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টিতে স্থানীয় আ’লীগ ও অংগ সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।