কচুয়ায় কৃষকের পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোর মশাল’

কচুয়া প্রতিনিধি:
“কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ” প্রতিপাদ্যে কচুয়ায় স্বেচ্ছায় ও বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছে বেসরকারি সামাজিক যুব সংগঠন আলোর মশাল। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে গৃহবন্দি সব মানুষ। পেটের দায় পড়লেও শ্রমিকেরাও প্রাণের ভয়ে গৃহবন্দি।

এতে শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারায় চরম দুশ্চিন্তায় কৃষক। চলতি মৌসমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতংকে ধানকাটা শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় শ্রমিক সঙ্কটে থাকা এলাকা গুলোতে ধান কেটে কৃষককে সহায়তা করছেন কচুয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর মশাল সামাজিক যুবসংগঠন। একই সঙ্গে খাদ্য সঙ্কটে থাকা অসহায় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা তুলে দিচ্ছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটি গ্রামের সমস্যাগ্রস্থ কৃষক ঠাকুর দাসের ধান কেটে দিয়েছেন আলোর মশাল সামাজিক যুব সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। এমন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে প্রশংসায় ভাসছেন আলোর মশাল সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা।

কৃষকের এই ধান কাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও কচয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন, আলোর মশালের সভাপতি ওমর ফারুক সায়েম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, সদস্য নোমান, সাজ্জাদ, বোরহান মিয়াজী, শাহাদাত হোসেন, ফাহিম, রাকিব প্রমূখ।

সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক সায়েম বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। মানবিক দিক বিবেচনায় সমস্যাগ্রস্থ কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি। তিনি আরো জানান-অন্য কোন কৃষকের ধান কেটে দেয়ার প্রয়োজন মনে হলে আমাদের হটলাইন ০১৯৮৭৫০৭০৮০ নম্বরে যোগাযোগ করলে সংগঠনের সদস্যরা আন্তরিক ভাবে সাড়া দেয়ার চেষ্টা করব। দেশের সংকটময় মুহুর্তে কৃষকদের সহায়তায় এমন সময়ের তরুণ ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানান।

সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মেহেদী হাসান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশ অচল হয়ে গেছে। সমগ্র বাংলাদেশকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথমত আমরা আলোর মশাল সামাজিক যুব সংগঠন কচুয়ায় ১ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছি।

দ্বিতীয়ত আমরা মাস্ক ও গøাবস বিতরণ করেছি। মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণকে সচেতনও করেছি। কচুয়া থানা পুলিশের সাথে কাজ করে যাচ্ছি সামাজিক দ‚রত্ব নিশ্চিতকরণে। যারা বাজারে অযথা ঘুরাঘুরি করে তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে আমাদের সাধ্যমত খাদ্যাসামগ্রীও বিতরণ করেছি। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে লকডাউন ও হোমকোয়ারেন্টাই বড় কাটা হয়ে দাড়িয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য।

এবার আলোর মশাল তাদের পাশে দাড়িয়েছে। হুম আপনাদের সহযোগিতায় আলোর মশাল এখন মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী পৌচ্ছে দিচ্ছি আজ থেকে। ১ম ধাপে আমরা ১০০ মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে আমাদের উপহার সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। কেউ যদি আলোর মশালের খাদ্য সহায়তা ফান্ডে সহায়তা করতে চান তাহলে ০১৯৮৭৫০৭০৮০ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।