রায়পুর পল্লী বিদ্যুতের হুটহাট লাইন বন্ধ, ভুতুড়ে বিলে জনজীবন অস্বস্তিতে

মোঃ হৃদয় হোসেন, রায়পুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত তথা ভুতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ বিরাজ করছে। গত তিন মাসে কোনো গ্রাহকের বিল চারগুণ পর্যন্ত বেশি এসেছে। যে গ্রাহকের বিল আসত মাসে ৩০০ টাকা তার এসেছে হয়েছে ১২০০ টাকা, যার বিল আসত ৩ হাজার টাকা তাকে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে তার তিনগুণ টাকার বিল।

রায়পুর পৌরসভাসহ উপজেলায় ৮৬ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছেন। গ্রাহকরা বলছেন, মিটার রিডাররা বাসাবাড়িতে গিয়ে বিল করে না। ফলে সমন্বয় কীভাবে করা হবে সেটা স্পষ্ট না। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ব্যবহার নিয়েও তারা অভিযোগ করেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকের সঙ্গে তারা দুর্ব্যবহার করে থাকেন।


রায়পুর প্রথম শ্রেণির পৌরসভার পশ্চিম কাঞ্চনপুর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করে থাকেন অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী শহীদ পাটোয়ারী। প্রতি মাসে তার ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বিল আসে। সে হিসাবে জুলাইয়ে আসে ৬১২ টাকা, আগস্টে ৬৪৩ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে তার বিল এসেছে ১ হাজার ১৩৯ টাকা। একই বাড়ির দিনমজুর আলাউদ্দিনের আগস্ট মাসে ৩২৫ টাকা বিলে এলেও সেপ্টেম্বর মাসে ৬৪৩ টাকা এসেছে।

উপজেলার চরআবাবিল ইউপির হায়দরগঞ্জ উপশহরে থাকেন ব্যবসায়ী জালাল আহাম্মেদ। মাসে তিনি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিদ্যুতের বিল দেন। আগস্ট মাসে ৬৭৩ টাকা এবং সেপ্টেম্বর মাসে বিল এসেছে ১ হাজার ৬৭০ টাকা। ভুতুড়ে বিলের পরিমাণ সব থেকে বেশি হলেও এ বিতরণ সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।


হায়দরগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট হোমিও ডাক্তার মো. রাশেদ বলেন, মাসে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা বিল আসে। এবার তাকে ১ হাজার ৩০০ টাকা বিল ধরিয়ে দিয়েছে। তবে তিনি কোনো ঝামেলার মধ্যে যাননি। গ্রামের মানুষ, বিল জমা দেয়ার শেষ সময় যাওয়ার আগেই তিনি পরিশোধ করেছেন।

ভুতুড়ে বিলের জন্য রায়পুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম শেখ মনোয়ার মোর্শেদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিছু কিছু গ্রাহকের বাড়ি গিয়ে বিল করা সম্ভব হয়নি। কোথাও কোথাও প্রকৃত বিল আসেনি। এতে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আগামীতে এসব বিল প্রকৃত মিটার রিডিং দেখে সমন্বয় করা হবে।

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, প্রিয় সময় গুজব প্রচার করে না

০৯ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ২৪ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২১ সফর ১৪৪২ হিজরি, শুক্রবার