এটাও কি সম্ভব?

নিউজ ডেস্ক : গাড়িতে পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত স্টিকার ও সাইরেন লাগানো। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের ওয়াকিটকি, সিগন্যাল লাইট ও ভিআইপি লাইট। আপাতদৃষ্টিতে পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ি বলেই মনে হবে। তাই পথে তল্লাশির শঙ্কা নেই। এমন ‘সুবিধা’র বর্ণনা দিয়ে ১০ গুণ টাকায় গাড়ি ভাড়া দিয়ে আসছিল একটি চক্র। এর সুযোগ নিয়ে অপরাধী চক্র এসব গাড়িতে বহন করছিল মাদক। চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পেরেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সমকাল

গ্রেপ্তার দু’জন হলো্ল-চক্রের প্রধান মুর্তুজা আল নাছির ওরফে মাহি ও জামাল হোসেন ওরফে জসিম। রোববার ডিবি তেজগাঁও বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় এ অভিযান চালায়।প্রতীকী ছবি।

ডিবির সহকারী কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম বলেন, সন্দেহজনক কিছু লোক মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশের গাড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া যায়। এর পর নবীনগর হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহি ও জসিমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। সেখানে পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত স্টিকার লাগানো একটি মাইক্রোবাস দাঁড়ানো ছিল। সেটিতে পুলিশের ব্যবহৃত সাইরেনের মতো হুবহু সাইরেনও সংযুক্ত ছিল। গ্রেপ্তার দু’জনের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, একটি সিগন্যাল লাইট, একটি ভিআইপি লাইট ও পুলিশের মনোগ্রাম সংবলিত স্টিকার উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস।

ডিবির এ কর্মকর্তা জানান, চক্রটি মূলত গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করে। তবে তারা গাড়িতে পুলিশের ব্যবহৃত সরঞ্জামের মতো কিছু জিনিস ব্যবহার করত। কেউ ভাড়া নিতে চাইলে তিন থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত ভাড়া চাইত। এর কারণ হিসেবে তারা গাড়িতে বাড়তি সরঞ্জামের কথা জানাত। চক্রটি মাদক বহনসহ নানা অপরাধমূলক কাজে এসব গাড়ি ব্যবহার করত।

ডিবি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা অনেক সময় নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাস্তা থেকে লোকজন গাড়িতে তুলে নিত। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিত।