শরীয়তপুর ও নোয়াখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রতিদিনের পারাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিন বছর আগে যাতায়াতে বন্ধ করে দেয় এলজিইডি। এরপর থেকেই শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। এতে চরম ভোগান্তিতে স্থানীয়রা। এদিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এলজিইডি বলছে, ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার এই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলার নামে। তবে তিনবছর ধরে এর ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। কারণ পিলার আর সংযোগ সড়কের মাটি সরে গেছে।

উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষের কথা মাথায় রেখে ২০১৭ সালে সেতুটি ফের নির্মাণে উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। যার ব্যয় ধরা হয় ১৫ কোটি টাকা। কথা ছিলো ২০১৯ সালেই খুলে দেয়া হবে সর্বসাধারণের জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত শেষ হয়েছে মাত্র ৩০ ভাগ কাজ।

নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন যুক্তি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের।
http://picasion.com/
মেসার্স নাভানা কনস্ট্রাকশনের প্রকল্প প্রকৌশলী আবুল হাশেম বলেন, নদী ভাঙনের জন্য আমরা কাজ করতে পারি নাই। বন্যার জন্য কাজ করতে পারা নাই। তাছাড়া জমি নিয়েও ঝামেলা ছিল।

শরীয়তপুর জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান ফরাজী বলেন, এখন কাজটি পুরোদমে চলছে আশা করছি আমরা এক বছরের মধ্যে ব্রিজের কাজটি সমাপ্ত হয়ে গেলে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেব।

এই দৃশ্যটি নোয়াখালীর সুবর্ণচরের গোপাল খাল ব্রীজের। সেতু আছে, কিন্তু পারাপারে ঝুঁকি তার চেয়েও বেশি। কেননা বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল।

ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেতুটি ব্যবহার করতে বেগ পেতে হচ্ছে তিনটি গ্রামসহ পাশের জেলার একটি উপজেলার মানুষের। যদিও এলজিইডি বলছে, ব্রীজটি সংস্কারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

সুবর্ণচর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. শাহিনুর আলম বলেন, সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে এবং আরো কিছু পক্রিয়া আছে। ওয়াল্ড ব্যাংকের কিছু রিকয়ারমেন্ট আছে ওইগুলির ব্যবস্তা করে এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে আমরা এখানে কাজ শুরু করবো।

১৯৯৬ সালে সুবর্ণচরের চরজব্বার ইউনিয়নের গোপাল খালের উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়।